শিঙাড়া বিক্রি করে দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন বেঙ্গালুরুর সিংহ দম্পতি। ছবি: সংগৃহীত।
সামান্য শিঙাড়াও যে আপনাকে কোটিপতি করে তুলতে পারে, জানা আছে? আপাতদৃষ্টিতে হেসে ওড়ানোর মতো কথা মনে হলেও আদতে ঠিক এমনটাই ঘটেছে। ঘটনাস্থল কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরু। দেশের সফ্টঅয়্যার রাজধানীর বাসিন্দা এক দম্পতি সামান্য শিঙাড়া বিক্রি করেই দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন। বাৎসরিক আয় ৪৫ কোটি টাকা!
নিধি সিংহ এবং তাঁর স্বামী শিখরবীর সিংহ। ২০১৬-য় শিঙাড়ার দোকান খোলেন বেঙ্গালুরুতে। নাম দেন ‘সামোসা সিংহ’। সেই শুরু শিঙাড়া বিক্রির। বাকিটা ইতিহাস।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিধি এবং শিখরের প্রথম সাক্ষাৎ হরিয়ানায়। সেখানেই দু’জনেই কুরুক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োটেকনোলজিতে বিটেক করেন। তার পর চাকরি। সেই সময় বায়োকনের প্রিন্সিপাল সায়েন্টিস্ট হিসাবে কাজ করছেন শিখর। অন্য দিকে গুরুগ্রামের একটি ওষুধ সংস্থার উচ্চপদে কাজ করছেন নিধিও। বেতন বাৎসরিক ৩০ লক্ষ টাকা। কিন্তু তাতে খুশি ছিলেন না কেউই। শেষ পর্যন্ত অনেক ভেবে বেঙ্গালুরুতে শিঙাড়ার দোকান দেওয়ার পরিকল্পনা সাজান দম্পতি। ২০১৫-তে দু’জনেই চাকরি ছেড়ে দেন। পরের বছরই যাত্রাশুরু ‘সামোসা সিংহ’-এর। সেই সামোসাই ভাগ্য বদলে দিল দম্পতির।
একটি রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে মাসে ৩০ হাজার শিঙাড়া বিক্রি করেন সিংহ দম্পতি। বাৎসরিক আয় ৪৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ, দৈনিক আয় ১২ লক্ষ টাকা।
কিন্তু ব্যবসার শুরুর দিকে জীবন এতটা সহজ ছিল না। চাহিদা বাড়ছে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্যবসার বাড়াতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন তাঁরা। দরকার বড় রান্নাঘরের। কিন্তু পকেট খালি। অনেক ভেবে নিজেদের থাকার বাড়িটিই ৮০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দেন। সেই টাকায় বেঙ্গালুরুতে একটি বড় জায়গায় রান্নাঘর বানান তাঁরা। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি নিধি, শিখরকে। রমরমিয়ে বিক্রি হতে থাকে শিঙাড়া।