বেঙ্গালুরু ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি। ছবি: সংগৃহীত।
কখনও ফুলহাতা জামা, টুপি, রোদচশমা। কখনও আবার হাফহাতা জামা, মুখে মাস্ক, খালি চোখ— বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরমের ক্যাফেতে বিস্ফোরণের পর পুলিশের চোখে ধুলো দিতে এ ভাবেই বার বার পোশাক বদল করেছেন সন্দেহভাজন। শুধু তাই-ই নয়, ‘চেহারা’ও বদলেছেন।
বিস্ফোরণের আগের এবং পরের ক্যাফে এবং তার আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার সময় গোয়েন্দারা দেখেন, ক্যাফে থেকে যে পোশাকে বেরিয়েছিলেন সন্দেহভাজন, কিছু সময় পরে তাঁকে আবার অন্য পোশাকে দেখা যায়। আর এই ফুটেজ দেখেই তদন্তকারীদের ধারণা, নজর এড়াতে বার বার পোশাক বদল করেছেন সন্দেহভাজন। কিন্তু কোথায় তিনি পোশাক বদলালেন, সেটি এখনও স্পষ্ট নয়।
ক্যাফের এই বিস্ফোরণের তদন্ত করছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। পুলিশ সূত্রে খবর, যে সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে, তাতে ওই সন্দেহভাজনকে তিন রকম পোশাকে দেখা গিয়েছে। প্রথম যে ফুটেজটি পেয়েছেন তদন্তকারীরা, সেখানে দেখা গিয়েছে ১ মার্চ দুপুর পৌনে ১২টা নাগাদ ক্যাফের দিকে এগোচ্ছেন সন্দেহভাজন। সেই সময় তাঁর পরনে ছিল ফুলহাতা জামা, হালকা রঙের একটি টুপি, রোদচশমা এবং মাস্ক। বিস্ফোরণের পর ওই পোশাকেই বাসে ওঠেন তিনি।
তার পরের ফুটেজটি দুপুর ২টো ৩০ মিনিটের। অন্য একটি বাসে উঠতে দেখা যায় সন্দেহভাজনকে। সেই সময় তার পরনে ছিল বেগুনি রঙের হাফহাতা টি শার্ট, কালো রঙা টুপি। তখনও মুখে মাস্ক পরা ছিল। কিন্তু চোখে রোদচশমা ছিল না। তৃতীয় যে ফুটেজটি তদন্তকারীদের হাতে এসেছে, সেটি বেলারি সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডের। রাত ৯টার সেই ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সন্দেহভাজনের পরনে টুপি, রোদচশমা কোনওটিই ছিল না। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, বিস্ফোরণের আগে এবং পরের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে স্পষ্ট যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি অনবরত তাঁর ‘চেহারা’ বদলেছেন। ফলে এটি যে পরিকল্পিত বিস্ফোরণ, তা স্পষ্ট। তদন্তকারীরা আরও একটি বিষয় লক্ষ্য করেছেন, বিস্ফোরণের আগে বা পরে সন্দেহভাজনের মধ্যে কোনও তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি। খুব শান্ত এবং স্বাভাবিক ভাবেই হেঁটে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।
ঘটনার পর আট দিন কেটে গিয়েছে। এখনও অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি পুলিশ। এনআইএ-ও তদন্ত শুরু করেছে। সন্দেহভাজন সম্পর্কে কোনও তথ্য দিলে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা করেছে এনআইএ।