অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ।
পিছনের আসনে বসে রয়েছেন মহিলা যাত্রী। অথচ ওলার মধ্যে চালক তাঁর আসনে বসেই দেখছেন পর্নছবি!
এই অভিযোগের তদন্তে নেমে উঠে এসেছে আরও বিস্ফোরক তথ্য। ওই চালকের নাম সংস্থার কাছে নথিবদ্ধই নয় বলে জানিয়েছে ওলা! ঘটনার জন্য তারা দুঃখপ্রকাশ করেই দায় সেরেছে। বেঙ্গালুরুর এই ঘটনায় ফের প্রশ্ন উঠে গেল অ্যাপ নির্ভর ক্যাব সংস্থাগুলির পরিচালন ব্যবস্থা ও দায়বদ্ধতা নিয়ে। পুলিশ গাড়িটিকে আটক করলেও চালক পলাতক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর ইয়েলাহাঙ্কা এলাকার বাসিন্দা একটি বেসরকারি সংস্থার মহিলাকর্মী শনিবার সন্ধ্যায় জেপি নগর যাবেন বলে মোবাইল থেকে ওলা বুক করেন। মহিলার অভিযোগ, ওলায় ওঠার পর কুইন্স সার্কেল এলাকায় এসেই তিনি বুঝতে পারেন, চালক মোবাইলে পর্ন দেখছেন। ভিডিও দেখতে না পেলেও শব্দ শুনতে পাচ্ছিলেন মহিলা।
তীব্র অস্বস্তিতে সঙ্গে সঙ্গে ওলা থেকে নেমে যেতে চান তিনি। কিন্তু অভিযুক্ত চালক গন্তব্যে পৌঁছনোর আগে তাঁকে নামতে দেননি। উল্টে ওই মহিলা যাত্রীকেও পর্ন দেখানোর চেষ্টা করেন এবং তাঁর শরীরে হাত দেন বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত কস্তুরবা রোড এলাকায় কোনও রকমে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন ওই মহিলা।
আরও পড়ুন: মহিলাকে নিয়ে হোটেলে, শৃঙ্খলাভঙ্গে দোষী সাব্যস্ত সেই মেজর লিতুল গগৈ
এর পরেই তিনি কুব্বন পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে ওলা বুকিংয়ের সূত্র ধরে গাড়িটি (কে এ ৫৩, সি ৯১৯২) আটক করে পুলিশ। কিন্তু তার আগেই পালিয়ে যায় চালক। বুকিংয়ের সময় ওলা অ্যাপে চালকের নাম ছিল দেবসমোলিয়া। বুকিংয়ে দেওয়া মোবাইলের সূত্রে তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: গোহত্যার ‘অভিশাপ’-এ ভাসছে কেরল! মন্তব্য বিজেপি বিধায়কের
পাশাপাশি চালকের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে ওলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। তাতে উঠে এসেছে আরও ভয়ঙ্কর তথ্য। ওলার তরফে জানানো হয়, গাড়িটি তাঁদের সংস্থায় নথিভূক্ত। তবে ওই নামে কোনও চালক তাঁদের সংস্থায় নথিভুক্ত নেই। গোটা ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েই দায় সেরেছে ওলা।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)