বিধান ভবনে ভোট দেওয়ার সময়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র।
ভোটের প্রস্তুতি এবং ভোটার তালিকা নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ছিল। শেষ পর্যন্ত সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি পদের জন্য বাংলায় নির্বাচন-পর্ব মিটে গেল শান্তিতেই। কংগ্রেস সূত্রের খবর, বাংলায় ভোট পড়েছে ৮৮%।
বিধান ভবনে সোমবার তিনটি বুথে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির (পিসিসি) অনুমোদিত প্রতিনিধির সংখ্যা ৫৪৩। এআইসিসি-র তরফে নির্বাচনী অফিসার বিবেক জৈনের কাছে জমা পড়া তথ্য অনুযায়ী, ওই ৫৪৩ জনের মধ্যে এ দিন বিধান ভবনে ভোট দিয়েছেন ৪৭৮ জন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, প্রাক্তন বিধায়ক নেপাল মাহাতো, অসিত মিত্র, শুভঙ্কর সরকার, কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক, সুজয় ঘটক-সহ প্রদেশ কংগ্রেসের পরিচিত সব নেতাই ভোট দিতে এসেছিলেন। প্রাক্তন সাংসদ দেবপ্রসাদ রায় ভোট দিয়েছেন দিল্লিতে এআইসিসি দফতরে। প্রাক্তন সাংসদ দীপা দাশমুন্সি হিমাচল প্রদেশে ভোট দিয়েছেন ওই রাজ্যে এআইসিসি-র পিআরও হিসেবে। একই ভাবে অমিতাভ চক্রবর্তী ভোট দিয়েছেন ওড়িশায়, সে রাজ্যের এপিআরও হিসেবে।
সভাপতি পদের দুই প্রার্থী মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং শশী তারুরের তরফে ৮ জন করে নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন তিনটি বুথের জন্য। বাংলায় তারুরের নির্বাচন ম্যানেজার ও কাউন্টিং এজেন্ট ঋজু ঘোষালের দাবি, তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদের জন্য ‘নিঃশব্দে’ ভোট হয়েছে। এ রাজ্য থেকেও তিনি বেশ কিছু ভোট পেয়েছেন। পক্ষান্তরে, খড়্গে শিবিরের দাবি, তাদের জয় নিয়ে কোনও সংশয় নেই। এ রাজ্যে খড়্গের কাউন্টিং এজেন্ট শঙ্কর ঘোষ। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীরবাবুর দাবি, ‘‘উৎসবের মেজাজে দেশ জুড়ে কংগ্রেস কর্মীরা ভোট দিয়েছেন।’’ গান্ধী পরিবারের বাইরে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি পদ যাওয়া প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘এটা নতুন কোনও কথা নয়। গান্ধী পরিবারের বাইরে থেকে আগেও সভাপতি হয়েছেন। কামরাজ, সীতারাম কেশরী, পি ভি নরসিংহ রাওয়েরা তো সভাপতি ছিলেন।’’