—প্রতীকী চিত্র।
তিক্ততা ছিলই। সাংবাদিকদের ভিসার মেয়াদ নামঞ্জুর করা নিয়ে ভারত-চিন সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়ে উঠল। শেষ ভারতীয় সাংবাদিকটিকে দেশ ছাড়ার জন্য বেজিং নির্দেশ দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। আজ রাতে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষে বলা হয়েছে ‘পারস্পরিক সম্মান, সমতা এবং সুবিধার্থে চিন ভারতের সঙ্গে কথা বলতে রাজি। আশা করি ভারতও অর্ধেক রাস্তা এগিয়ে আসবে। আশা করি চিনা সাংবাদিকদের ভিসা দেওয়ার বিষয়টি ভারত বহাল রাখবে। সাংবাদিক বিনিময়ের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করবে।’ চলতি মাসেই ভারতের সংবাদ সংস্থার ওই প্রতিবেদককে দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য চিনা প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এই সাংবাদিকের ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হবে না বলে গত মে মাসে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং জানিয়েছিলেন। কূটনৈতিক শিবিরের মতে এ ক্ষেত্রে শঠে শাঠ্যং রণনীতি নিয়েছে বেজিং।
বেজিংয়ের এই নির্দেশের পরে চিনে আর কোনও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি থাকল না। ঘটনার সূত্রপাত বেশ কয়েক দিন আগে। চিনের শিনহুয়া সংবাদ সংস্থা এবং চিনের সেন্ট্রাল টেলিভিশন-এর দুই সাংবাদিকের ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন প্রত্যাখ্যান করে নয়াদিল্লি। অন্য দিকে চিনে মোট চার জন ভারতীয় সাংবাদিক ছিলেন। এর পরেই পাল্টা হিসেবে বেজিংয়ে কর্মরত ভারতের তিন সাংবাদিকের ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। বাকি যিনি ছিলেন তাঁর বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হল।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে পূ্র্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখাসংলগ্ন এলাকায় চিনা সেনার আগ্রাসনের পরে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। সীমান্ত সমস্যা সমাধানে সেনা পর্যায়ে ধারাবাহিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হলেও, বেশ কিছু ক্ষেত্রে এখনও সমস্যা রয়েছে। সীমান্তের জট না কাটলে যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না, নয়াদিল্লির তরফে তা স্পষ্ট করে দেওয়াহয়েছে বেজিংকে।