অন্তরা দাস (ছবি এবিপি আনন্দর সৌজন্যে)
পুণের রাস্তায় কলকাতার এক তরুণীকে কুপিয়ে খুন করল তিন আততায়ী। শনিবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ ধরা পড়েনি।
পুণে পুলিশ জানিয়েছে, নিহত তরুণীর নাম অন্তরা দাস। বয়স ২৩। পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। শুক্রবার রাতে ডেহু রোডের কেএনবি চকের কাছে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মারা যান তিনি। তাঁর মাথা, গলায় ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাত মিলেছে। অন্তরার পরিবার পুণেয় গিয়েছেন। এই ঘটনায় অন্তরার পূর্বপরিচিত এক যুবকের বিরুদ্ধে সন্দেহের আঙুল উঠেছে বলে পুলিশের দাবি।
অন্তরার বা়ড়ি বেহালার সরশুনা এলাকায়। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে প্রথমে বেঙ্গালুরু যান তিনি। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার প্রশিক্ষণ শেষে মাস ছয়েক আগে পুণের তালবাড়ে একটি তথ্যপ্রযুক্তি অফিসে যোগ দেন। শুক্রবার অফিস করেই বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সিসিটিভি ফুটেজ বলছে, রাত সাড়ে আটটা কেএনবি চকের কাছে তিন যুবক এসে পিছন থেকে অন্তরার গলায় কোপ বসায়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতালে নিয়ে যান। পুলিশেও খবর দেন। শুক্রবার গভীর রাতে হাসপাতালেই মারা যান অন্তরা। ডেহু রোড থানা থেকে যোগাযোগ করা হয় সরশুনার বাড়িতে। অন্তরার জেঠা পঞ্চানন দাস জানান, ‘‘দুঃসংবাদ পেয়েই অন্তরার বাবা-মা পুণেয় গিয়েছেন। তাঁরাই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।’’
কী কারণে খুন করা হল অন্তরাকে? তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানাচ্ছে, অন্তরার কোনও কিছু খোওয়া যায়নি। যে ভাবে পিছন দিক থেকে এসে হামলা চালানো হয়েছে, তাতে খুন করাই মূল উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে হয়। পুণে গ্রামীণ পুলিশের এক অফিসার জানান, আততায়ীদের ছবি মিললেও পরিচয় জানা যায়নি। সূত্রের খবর, বেঙ্গালুরুতে সেখানকার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার এক যুবক কর্মীর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল অন্তরার। পরবর্তী কালে তাঁদের সম্পর্কের অবনতি হয়। তার পর থেকে ওই যুবক অন্তরাকে উত্যক্ত করতেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার সঙ্গে ওই যুবকের কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে অন্তরার ফোনের কল ডিটেলসও।