Uttar Pradesh

Yogi Adityanath: ভোট-প্রদেশে হঠাৎই দামি মেয়েদের মন

বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব রাজ্য এবং কেন্দ্রের বিভিন্ন নারীকল্যাণ প্রকল্পকে প্রচারে সামনে নিয়ে আসছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:৫৪
Share:

যোগী আদিত্যনাথ। —ফাইল চিত্র

মেয়েদের ভোটের জন্য কাড়াকাড়ি পড়ে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশে। দল নির্বিশেষে প্রমীলা ভোটব্যাঙ্ক কব্জা করার জন্য নেতাদের এ ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে, এর আগে দেখা যায়নি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির।

Advertisement

বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব রাজ্য এবং কেন্দ্রের বিভিন্ন নারীকল্যাণ প্রকল্পকে প্রচারে সামনে নিয়ে আসছেন। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ইস্তেহারে মহিলাদের অগ্রাধিকার দিয়েছেন। জয়ন্ত চৌধুরির আরএলডি ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, তারা ক্ষমতায় এলে (এসপি-র সঙ্গে জোট গড়ে) সরকারি চাকরিতে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ, সরকারি স্কুলে মেয়েদের বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। বিএসপি-র মায়াবতী হঠাৎ বিজেপি এবং কংগ্রেসকে-কে আক্রমণ করে বসেছেন, সংসদে নারী সংরক্ষণ বিল পাশ না করানো জন্য! এমনকি, যে দলের নেতা মুলায়ম সিংহ যাদব সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিলের বিরোধিতা করেছিলেন, সেই সমাজবাদী পার্টির বর্তমান নেতা তথা মুলায়ম-পুত্র অখিলেশ আজ প্রতিটি প্রচারে নারীকল্যাণকে সামনে নিয়ে আসছেন।

প্রশ্ন হল, সাধারণ ভাবে পুরুষতান্ত্রিক উত্তরপ্রদেশে নারীকল্যাণের জন্য হঠাৎ এই হুড়োহুড়ি কেন?

Advertisement

রাজনৈতিক শিবিরের মতামত, শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশেই নয়, গোটা দেশের নির্বাচনে ক্রমশ গুরুত্ব পাচ্ছেন মহিলারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নবীন পট্টনায়ক, নীতীশ কুমারের মতো নেতানেত্রীরা তা আগেই বুঝতে পেরেছেন। উত্তরপ্রদেশে ২০১৭ সালের বিধানসভা এবং ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে দেখা গিয়েছে, মহিলা ভোটদাতার সংখ্যা পুরুষের চেয়ে বেশি। বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, বহু রাজ্যেই মহিলা ভোট তারা পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উজ্জ্বলা যোজনা অথবা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কারণে। এই প্রকল্পগুলিতে মেয়েদের ক্ষমতায়নের চেষ্টা হয়েছে। এ ছাড়া ‘বেটি বচাও, বেটি পড়াও’, ‘পিএম জনধন’, ‘সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা’-র মতো বেশ কিছু কর্মসূচি বা প্রকল্পও নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের একটি জনসভায় মোদী বলেছেন, ‘রাজ্যের মহিলাদেরই এটা নিশ্চিত করতে হবে যাতে বিরোধীরা ক্ষমতায় না আসেন।’ মেয়েদের বিয়ের বৈধ বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে মোদী সরকার প্রচার করছে মহিলাদের স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার অঙ্গ হিসেবে।

একটু দেরিতে হলেও সীমিত সাধ্যের মধ্যে এই দৌড়ে নেমেছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তাঁর প্রতিশ্রুতি, ৪০ শতাংশ মহিলাকে ভোটে মনোনয়ন দেওয়া হবে। এ ছাড়া ভোটে জিতলে মেয়েদের স্মার্ট ফোন, গ্যাস সিলিন্ডার, দ্বিচক্রযান দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে। এসপি প্রধান অখিলেশ যাদব তাঁর প্রচারে বার বারই নারী কল্যাণের প্রসঙ্গ তুলছেন। তাঁদের উল্লেখ করছেন ‘আধি আবাদি’ বলে। যদিও বিজেপি-সহ অন্য দলগুলি মনে করিয়ে দিতে ছাড়ছে না, ১২ বছর আগে সংসদে নারী সংরক্ষণ বিলের বিরোধিতা করতে গিয়ে অখিলেশের বাবা মুলায়ম বলেছিলেন, ‘এই সংরক্ষণ কার্যকর হলে সংসদে তরুণ সাংসদেরা সিটি দেবেন!’

সময় বদলেছে। এখন ভোটের আগে নারী-মন পরম আরাধ্য রাজনৈতিক নেতাদের কাছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement