অজ্ঞাত পরিচয় কয়েক জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে ঝামেলার জেরে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠল। বুধবার গুরুগ্রামে ঘর থেকে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ, আত্মহত্যার আগে জীবন শেষ করার কথা সহকর্মীদের ফোনে মেসেজ করে জানিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
রবি নগর এলাকায় বুধবার সকালে বাড়ি থেকে এক বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত অমিত কুমার নামে বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে গোলমাল হয় অমিতের। তার পরই কয়েক জন সহকর্মীকে মেসেজ করে আত্মহত্যার কথা জানান তিনি।
পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন অমিতের স্ত্রী পূজা। তাঁদের ১০ বছরের বিবাহিত জীবন। মাস দেড়েক আগে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ শুরু করেছিলেন অমিত। অভিযোগপত্রে পূজা জানিয়েছেন, সকাল ৭টা ২০ মিনিট নাগাদ তিনি অমিতের অফিস থেকে একটা ফোন পান। ফোনে পূজাকে জানানো হয় যে, গত রাতে অফিসে খুব ঝামেলা হয়েছে। তার পরই কয়েক জন সহকর্মীকে মেসেজ করে আত্মহত্যার কথা জানান অমিত। এই ফোন পাওয়ার পর অমিতের ঘরে যান পূজা। ঘরের মধ্যে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় অমিতকে। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তত ক্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা।
স্বামীর এই পরিণতির জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পূজা। সূত্রের দাবি, অফিসে এক মহিলা সহকর্মীর সঙ্গে গোলমাল হয়েছিল অমিতের। যদিও এ বিষয়ে পুলিশের তরফে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়নি। মৃতের ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি সংস্থায় অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসাবে কাজ করতেন অমিত। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সেক্টর ৯এ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।