— প্রতীকী ছবি।
বাড়িতে সাত বছরের শারীরিক এবং মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে শুইয়ে পাশের মুদিখানার দোকানে গিয়েছিলেন মা। সেই সময়ের মধ্যেই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাবালিকা হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের সেকেন্দ্রাবাদে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
রবিবার, মেয়েকে বাড়িতে রেখে কিছু ক্ষণের জন্য পাশের মুদিখানার দোকানে গিয়েছিলেন মা। ফিরে এসে দেখেন মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তা দেখেই সন্দেহ হয় মায়ের। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবন্ধী মেয়েকে তুলে হাসপাতাল নিয়ে আসেন তিনি। জানা গিয়েছে, নাবালিকার মা যখন দোকানে কেনাকাটা করছিলেন, সেই সময় এক ব্যক্তি বাড়িতে ঢুকে শয্যাশায়ী নাবালিকাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। মা বাড়ি ফিরে এসে দেখেন, মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছে। শরীরে ও অন্তর্বাসে রক্ত দেখে মা বুঝতে পারেন, অঘটন কিছু ঘটেছে! দ্রুত মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে যান তিনি। সেখানেই প্রাথমিক পরীক্ষায় ধর্ষণের ব্যাপারে নিশ্চিত হন মা। কিন্তু একাধিক শারীরিক এবং মানসিক প্রতিবন্ধকতার দরুণ নিজের অবস্থার কথা মাকে কিছুই জানাতে পারেনি নাবালিকা।
বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছে নাবালিকা। হাসপাতালের পক্ষ থেকেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পুলিশ ইতিমধ্যেই নিগৃহীতার বাড়িতে ঘুরে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছে। ঘুরে গিয়েছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তের সন্ধান মেলেনি।