পেশাদার বাসচালক নন। কিন্তু তাক লাগালেন মুম্বইয়ের প্রতীক্ষা দাস। প্রশিক্ষণ নিয়ে অবলীলায় পেলেন লাইসেন্স। বাস, ট্রাকের মতো ভারী যানের স্টিয়ারিং বশ মানে এই ইঞ্জিনিয়ারের হাতে।
তাঁর বয়সি মেয়েরা শপিং করে আনন্দ পায়। কিন্তু প্রতীক্ষার মন ভাল থাকে ভারী গাড়ি চালিয়ে। বাস, ট্রাক, রেসিং কার, এমনকি সব রকম বাইকও চালাতে পারেন প্রতীক্ষা। স্টিয়ারিং যেন তাঁর হাতের কথা শোনে।
মামার বাইক দিয়ে গাড়ি চালানোর হাতেখড়ি প্রতীক্ষার। তখন তিনি অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। গ্রামের পথে বাইক চালিয়ে মনে হয়েছিল এটাই তাঁর কাজ।
ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে রিজিওনাল ট্রাফিক অফিসার (আরটিও) হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তার জন্য প্রয়োজন ছিল ভারী গাড়ি চালানোর লাইসেন্স। সেই সুবাদে বাস চালানোর প্রশিক্ষণ।
প্রশিক্ষণে প্রতীক্ষাকে দেখে তো সবাই অবাক। এই এতটুকু মেয়ে আবার বাস চালাবে কী! কিন্তু প্রশিক্ষককেই তাক লাগিয়ে দিলেন প্রতীক্ষা। এক মাসের মধ্যে আয়ত্ত করলেন স্টিয়ারিং শাসনের খুঁটিনাটি।
তাজ্জব বাকি চালকরাও। মাত্র এক মাসে বাস চালানো শিখে প্রথম সুযোগেই কিনা মেয়ের হাতে লাইসেন্স। যেমন অবাক হয়েছিলেন প্রতীক্ষার মামা। মাত্র দু’ঘণ্টায় ভাগ্নির বাইক চালানো শেখা দেখে।
গত ২০ জুন লাইসেন্স হাতে পান প্রতীক্ষা। বাকি বাসচালকদের সঙ্গে জমিয়ে সেলিব্রেশন হয়। তাঁদের অনেকেরই দাবি, এই প্রথম দেখলেন একজন মেয়েকে এক বারে এত সহজে ড্রাইভিং-এর পরীক্ষায় পাশ করতে।
প্রতীক্ষার পরের লক্ষ্য কী? তিনি টাকা জমাচ্ছেন। ৪০ ঘণ্টার সেশনের জন্য দরকার অন্তত পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা। শিখবেন বিমান চালানো।
এই স্বপ্নউড়ানের আগে আরও একটা স্বপ্নপূরণের পথে তরুণী। লাদাখে পনেরো দিনের রোড ট্রিপ হবে। অভিযাত্রীদের নেতৃত্বে থাকবেন দুঃসাহসী প্রতীক্ষা।
নেটিজেনদের কুর্নিশ আদায় করেছেন এই ছকভাঙা দুঃসাহসী তরুণী।