Batla House

বাটলা হাউস কাণ্ডে অভিযুক্ত মুজাহিদিন জঙ্গিকে ফাঁসির সাজা দিল দিল্লির আদালত

২০০৮-এ ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পর দক্ষিণ দিল্লির বাটলা হাউসে আশ্রয় নেয় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গিরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২১ ১৯:২৯
Share:

ছবি: রয়টার্স

বাটলা হাউস সংঘর্ষে দিল্লি পুলিশের আধিকারিক হত্যায় অভিযুক্ত আরিজ খানকে মৃত্যুদণ্ড দিল দিল্লির একটি আদালত। গত সপ্তাহেই আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল, সোমবার শাস্তি ঘোষিত হল।

Advertisement

২০০৮-এ ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পর দক্ষিণ দিল্লির বাটলা হাউসে আশ্রয় নেয় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গিরা। সেখানেই পরবর্তীতে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় পুলিশের। জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারান মোহনচাঁদ শর্মা নামে এক পুলিশ আধিকারিক, আরও ২ জন গুরুতর ভাবে আহত হন।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের বাসিন্দা আরিজ খানকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। তার পর থেকে শুনানি চলছিল। আদালতে পুলিশ দাবি করে, একজন আইনের রক্ষককে এ ভাবে হত্যা করার কারণেই এই মুজাহিদিন জঙ্গির ফাঁসি হওয়া উচিত। তবে আরিজ খানের আইনজীবীর দাবি ছিল, এই হত্যার ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত নয়।

Advertisement

যদিও সে দাবি শুনতে চায়নি আদালত। অতিরিক্তি সেশন বিচারক সন্দীপ যাদব সোমবার জানিয়েছেন, ফাঁসির পাশাপাশি ১১ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হবে আরিজের। যে জরিমানার ১০ লক্ষ টাকা দ্রুত পুলিশ আধিকারিক মোহনচাঁদ শর্মার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাটলা হাউস থেকে ঘটনার দিন আরিজ ছাড়াও পালিয়েছিল শাহজাদ আহমেদ নামে আরও এক জঙ্গি। তাকে ইতিমধ্যে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, দিল্লি ছাড়াও জয়পুর, আমদাবাদে একাধিক বিস্ফোরণের পিছনে আরিজের হাত রয়েছে। মুজফ্ফরনগরের বি-টেক আরিজ খান বিস্ফোরক তৈরিতে বিশেষজ্ঞ। নেপাল-সহ ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিতেও তার একাধিক ডেরা রয়েছে। এই বিস্তৃত জঙ্গি নেটওয়ার্কের উপর নির্ভর করেই ২০০৮ সালে অত বড় হামলা চালায় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement