ফাইল চিত্র।
কয়েক বছর আগে জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা জওয়ানের মুণ্ড কেটে নিয়েছিল পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিম (ব্যাট)। তা নিয়ে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনার আবহ তৈরি হয়। এ বার একই ঘটনা ঘটল এক শ্রমিকের সঙ্গে। এর পিছনে ব্যাট-এর হাত রয়েছে বলেই সন্দেহ করছে ভারতীয় সেনা। এই প্রথম কোনও ভারতীয় নাগরিকের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটল বলে সেনা সূত্রে খবর।
বার বার হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। শুক্রবারও সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে পুঞ্চে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর মর্টার, গুলি ছোড়ে পাক রেঞ্জার্স। তখনই মৃত্যু হয় দুই শ্রমিকের। সেনা সূত্রে খবর, পাকিস্তানের ছোড়া মর্টারে নিহত হন গোলপুর সেক্টরের কাসালিয়ান গ্রামের মহম্মদ আসলাম (২৮) ও আলতাফ হুসেন (২৩) নামে দুই ব্যক্তি। আহত হন আরও তিন জন। নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনাদের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছিলেন এক দল শ্রমিক। সেই দলে ছিলেন আসলাম ও আলতাফ। পাক সেনারা তাঁদের লক্ষ্য করেই মর্টার ও গুলি ছুড়তে শুরু করে। সেই হামলাতেই মৃত্যু হয় ওই দু’জনের। সেনা পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার ছিন্নভিন্ন অবস্থায় আসলামের দেহ উদ্ধার হয়। ধড় থেকে গায়েব ছিল তাঁর মুণ্ড।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ভারতের নতুন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবণে। সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারিও দিয়ে বলেছেন, কী ভাবে এই ধরনের পরিস্থিতির যোগ্য জবাব দিতে হয় তা সেনা ভাল ভাবেই জানে। কোনও পেশাদার সেনা এমন বর্বর কাণ্ড ঘটাতে পারে না বলেও মন্তব্য সেনা প্রধানের। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে, পাকিস্তান এ রকম একটা বর্বরোচিত কাজ করার পরেও কেন চুপ রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী। দলের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, “পাকিস্তানের এই কাপুরুষোচিত কাজের জবাব কবে দেবে সরকার?”
আরও পড়ুন: ইন্ডোরে ঢোকার সময়ে মোদীর কনভয়ের কাছে কালো পতাকা, গ্রেফতার ২
আরও পড়ুন: শ্রীনগরে জঙ্গিদের সঙ্গে একই গাড়ি থেকে গ্রেফতার রাষ্ট্রপতি পদকজয়ী পুলিশ অফিসার
জম্মু-কাশ্মীর প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র রবীন্দ্র শর্মা পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দেওয়ার দাবি তুলেছেন। তিনি বলেন, “ইউপিএ জমানায় যখন এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল, তখন বিজেপি প্রশ্ন তুলেছিল। ইউপিএ সরকারকে দুর্বল বলেছিলেন মোদী। কিন্তু মোদীর শাসনকালে পাকিস্তান এমন অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে। তা রুখতে ব্যর্থ কেন, জবাব দিতে হবে মোদী সরকারকে।”