—ফাইল চিত্র।
কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু দুই জঙ্গির। তারা পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সদস্য বলে জানা গিয়েছে। নিহতদের মধ্যে এক জনকে সাজ্জাদ ওরফে হায়দর বলে শনাক্ত করা গিয়েছে। উপত্যকায় লস্করের অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার ছিল সে। তাদের অন্য এক সঙ্গী এখনও গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলে খবর। সোমবার সকালে সাজ্জাদ ও তার দুই সঙ্গী মিলেই বারামুল্লার ক্রীরিতে চেকপোস্টে হামলা চালায়। তাতে দুই সিআরপি জওয়ান ও এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়।
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে শ্রীনগর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে বারামুল্লার ক্রীরি চেকপোস্টে আধা সেনা ও পুলিশ যৌথ ভাবে নাকা তল্লাশি চালাচ্ছিল। তখনই তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বাহিনী পাঠানো হয় সেখানে। কিন্তু তত ক্ষণে জঙ্গিরা চম্পট দিয়েছে। গুলিবিদ্ধ জওয়ান ও পুলিশষকর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁদের।
প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, চেক পোস্টে নাকা তল্লাশি চলার সময় আচমকাই সামনের বাগান থেকে বেরিয়ে আসে তিন জঙ্গি। চেকপোস্টে মোতায়েন জওয়ান এবং পুলিশদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করে তারা। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিন জন লুটিয়ে পড়লে তাদের মধ্যে এক জনের বন্দুক ছিনিয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয় জঙ্গিরা।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এগরার বিধায়ক সমরেশ দাসের
আরও পড়ুন: দেশে মৃত্যু ৫০ হাজার ছাড়ালেও স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থ হওয়ার হার
এর পরই হামলাকারীদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি অভিযানে নামে সেনা। কয়েক ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর দুই জঙ্গির হদিশ মেলে। তবে আত্মসমর্পণ করার বদলে সেনাকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে তারা। পাল্টা জবাব দেন ভারতীয় জওয়ানরাও। তাতেই সাজ্জাদ ও তার সঙ্গীর মৃত্যু হয়। তাদের কাছ থেকে একটি একে রাইফেল এবং দু’টি পিস্তল উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও তৃতীয় জঙ্গির খোঁজ চলছে বলে সিআরপি-র তরফে জানানো হয়েছে।