ছবি পিটিআই।
আগামী কাল পদ্মাপারে পৌঁছচ্ছে ২০ লক্ষ ডোজ় কোভিশিল্ড। আজ বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছে, রফতানি সম্পূর্ণ অবাণিজ্যিক। যাকে বলা হচ্ছে— ‘ভারতের মানুষের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের মানুষকে উপহার।’
করোনার টিকাকে সামনে রেখে প্রকৃতপক্ষে প্রতিবেশী কূটনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে নয়াদিল্লি, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল শিবির। গত কাল মলদ্বীপ এবং ভুটানের পরে, আগামিকাল বাংলাদেশ এবং নেপালকে প্রতিষেধক উপহার পাঠানো হচ্ছে। ভারত থেকে বিশেষ বিমানে এই টিকা যাবে ঢাকা এবং কাঠমান্ডুতে। বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতির সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই এই উদ্যোগ।
প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বাংলাদেশকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েই দেখতে চাইছে সাউথ ব্লক। তার কারণ, গত কয়েক বছরে প্রতিবেশী বলয়ের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক তুলনামূলক ভাবে সবচেয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল। কৌশলগত ভাবে বাংলাদেশের অবস্থানও ভারতের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কেও গত এক বছরে কিছুটা ঝড় বয়েছে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। সামনেই পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন। সীমান্ত অনুপ্রবেশের বিষয়টি নিয়ে বাংলার ভোট ময়দানে সরব হচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব, যা বাংলাদেশের আবেগে ক্ষত তৈরি করছে বলেই আশঙ্কা কূটনৈতিক শিবিরের। ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতির প্রশ্নে সক্রিয় মোদী সরকার। ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে ভারত প্রতিষেধক পাঠানো নিয়ে কথা দিয়েছিল ঢাকাকে। এখনও পর্যন্ত প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে বাংলাদেশকেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ডোজ় পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের কাছ থেকে। আগামিকাল নেপালকে উপহার হিসাবে দেওয়া হবে ১০ লক্ষ ডোজ়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, ওমান, মঙ্গোলিয়া, মায়ানমার, বাহরাইন, মরিশাস, ফিলিপিন্স-এর মতো দেশে ‘শুভেচ্ছা নিদর্শন’ হিসেবে বিনা মূল্যে ৮ লক্ষ ১০ হাজার ডোজ় করোনা প্রতিষেধক পাঠাবে ভারত সরকার। এর মধ্যে বেশির ভাগই হল কোভ্যাক্সিন। সেশেলস্-এ কিছু কোভিশিল্ড পাঠানো হবে সিরাম ইনস্টিটিউটের সহায়তায়। পাঠানো হবে আফগানিস্তানেও। ইতিমধ্যে সিরাম ইনস্টিটিউট ও ভারত বায়োটেকের থেকে প্রতিষেধক কেনার জন্য যোগাযোগ করেছে ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকা৷ সূত্রের খবর, দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম পর্যায়ে ১৫ লক্ষ ডোজ় কোভিশিল্ড পাঠানোর জন্য সে দেশের সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট৷ একই ভাবে, ব্রাজিলেও প্রতিষেধক পাঠানোর ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে ভারত বায়োটেক।