বঙ্গভবন নিয়ে ‘পোস্টাল কভার’ তৈরি হচ্ছে। ১৬ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে তা প্রকাশিত হবে। ডাকটিকিটের উপর দু’দিনের জেলাভিত্তিক প্রদর্শনীরও উদ্বোধন হবে সে দিন। আজ এই কথা জানিয়েছেন ডাক বিভাগের সিনিয়র ডিভিশনাল সুপার বিমল কিশোর।
তিনি জানান, ২০০৬ সালে শিলচরে একবার বিভাগীয় তরফে ডাকটিকিটের প্রদর্শনী করা হয়েছিল। ঠিক দশ বছর পরে আবার আয়োজন করা হল। তাঁরা একে বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। বাইরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ডাকটিকিট সংগ্রহকারীরা আসবেন। থাকবেন স্থানীয় পর্যায়ের আগ্রহীরা। প্রদর্শনীর সঙ্গে সঙ্গে সংগ্রাহকদের মধ্যে প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়েছে।
এই বিশেষ মুহূর্তগুলিকে স্মরণীয় করে রাখতেই পোস্টাল কভার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বঙ্গভবনের কভারের প্রস্তাবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন মিলেছে। শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে থাকা আঞ্চলিক ব্লাড ব্যাঙ্কের উপরও একটি কভার করতে চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে বিমলবাবু জানিয়েছেন। তিনি আশাবাদী, দুয়েকদিনের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া মিলবে।
পাশাপাশি তাঁরা স্কুলছাত্রদের জন্য আঁকা ও ক্যুইজ প্রতিযোগিতারও আয়োজন করেছে। পর দিন হবে ডাকটিকিট সংগ্রহ নিয়ে কর্মশালা। ডাকটিকিট সংগ্রহের কৌশল, কী ভাবে সেগুলি প্রদর্শনীর উপযোগী করে রাখতে হয়, মূলত সে সব বিষয়ই শেখানো হবে। কিন্তু ডাকটিকিটের ব্যবহার যে-ভাবে কমছে টিকিট সংগ্রহের আগ্রহ কি টিঁকে থাকবে। শিলচরের সিনিয়র পোস্টমাস্টার প্রদীপকুমার দে-কে পাশে বসিয়ে বিমলবাবু দাবি করেন, বিষয়টি উল্টো হয়ে গিয়েছে। ডাকটিকিটের ব্যবহার কমে যাওয়ায় তা সংগ্রহ-সংরক্ষণে আগ্রহ বাড়ছে। অন-লাইনেও ডাকটিকিট সংগ্রহ করছেন অনেকে।
বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের পক্ষ থেকে বঙ্গভবনের উপর পোস্টাল কভার করার সিদ্ধান্তে সন্তোষ ব্যক্ত করা হয়েছে। জেলা সভাপতি তৈমুর রাজা চৌধুরী বলেন, ‘‘শিলচরে যে এমন একটি বঙ্গভবন রয়েছে, সে কথা চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে।’’