কোভিড বিধি উড়িয়েই ভিড়ে ঠাসা ট্রেনযাত্রা। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের গাজ়িয়াবাদে। পিটিআই
অনেকেই ভাবছেন, পুজোর ক’দিন ফাঁকায় ফাঁকায় কাছেপিঠে কোথাও ঘুরে আসার কথা। টিকিটও হয়তো কেটে ফেলেছেন। অনাবশ্যক ওই ভ্রমণ এ বার অন্তত না করাই উচিত হবে বলে আজ পরামর্শ দিলেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) সংস্থার প্রধান বলরাম ভার্গব। তাঁর কথায়, পর্যটন স্থলে হঠাৎ জনসমাবেশ বেড়ে গেলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখনও রয়েছে এবং তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। তাই অনাবশ্যক ভ্রমণ এ বছর না করাই ভাল।
গত বারের অভিজ্ঞতা থেকে এ বার দুর্গাপুজো, দশেরা, ইদ, দিওয়ালির মতো উৎসবের দিনগুলিতে মানুষ যাতে পথে না নামেন, তার জন্য ধারাবাহিক ভাবে সতর্কবার্তা শুনিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তারা। রাজ্যগুলিকেও উৎসবের দিনগুলিতে ভিড়কে কড়া ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কথায়, গত বার উৎসবের মরসুমের পরেই দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যায়। যা পরে দ্বিতীয় ঢেউ ডেকে আনে। তাই এ বছর গোড়া থেকেই বাড়িতে থেকে স্বজনদের বৃত্তে উৎসব কাটানোর পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ আজ মন্ত্রকের সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ঘরে বসে অনলাইনে উৎসব করুন। অনলাইনে সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। রাস্তায় না নেমে বাড়িতে আনন্দে মাতুন। যাঁরা উৎসবের দিনগুলিতে ঘুরতে যাবেন ভাবছেন, তাঁদের জন্য আইসিএমআর প্রধান বলরাম ভার্গবের সতর্কবার্তা, পর্যটনস্থলগুলিতে ভিড়ও করোনা ডেকে আনতে পারে। তাই এ বছর অনাবশ্যক যে কোনও ভ্রমণ অনুচিত।
এ দিকে উত্তরপ্রদেশে ভোটের কথা মাথায় রেখে দুর্গা পুজো, দশমীর দিন রামলীলা অনুষ্ঠান করার অনুমতি আগেই দিয়ে রেখেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনে লড়ার কথা আম আদমি দলেরও। হিন্দু ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে আজ দিল্লিতেও দুর্গাপুজো, রামলীলা করার অনুমতি দিয়েছে অরবিন্দ কেজরীবাল সরকার। সূত্রের মতে, দিল্লিতে রামলীলা করতে না দিলে তার প্রভাব উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে পড়ার আশঙ্কায় ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে রামলীলা অনুষ্ঠানে কোনও মেলা বা খাবারের দোকান দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে দিল্লি সরকার। দুর্গাপুজোর ক্ষেত্রে পুজোমণ্ডপে কোনও ভাবে ২০০ জনের বেশি থাকা যাবে না। ভিড়ের ছবি ঘণ্টায় ঘণ্টায় তুলে পাঠাতে হবে প্রশাসনকে। বসবে না কোনও খাবারের দোকানও, করা যাবে না মেলা। শেষ মুহূর্তে ওই অনুমতি আসায় গত বারের মতো এ বারও নমো নমো করে পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিটিগুলি।