—ফাইল চিত্র।
স্কুলের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব সংগঠন বজরঙ্গ দলের বিরুদ্ধে। গ্রীষ্ণকালীন ছুটি চলাকালীন, মুম্বইয়ের মীরা রোডের একটি স্কুলে গতমাসে এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয় বলে দাবি ‘ডেমোক্র্যাটিক ইয়ুথ ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের।
মুম্বইয়ের মীরা রোডে সেভেন স্কোয়্যার অ্যাকাডেমি নামের ওই স্কুলটি চালান বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মেহতা। সেখানেই অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন হয়েছিল বলে দাবি ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের। প্রথমে ২৫ মে পর্যন্ত শিবিরটির আয়োজন করা হলেও, পরে সময়সীমা বাড়িয়ে ১ জুন পর্যন্ত করা হয় বলে দাবি তাদের। ছবি এবং বিজ্ঞাপনের পোস্টার-সহ সেই সংক্রান্ত একাধিক প্রমাণ পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে তারা। তবে এখনও পর্যন্ত মামলা দায়ের হয়নি।
ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য সাদিক বাদশা সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলেন, ‘‘দেশে কী এমন বিপদ ঘনিয়ে এসেছে যে, স্কুলের মধ্যে অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন কতে হচ্ছে? আসলে বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের মানুষের মনে ভয় সঞ্চার করাই ওদের উদ্দেশ্য। যুবসমাজের মগজধোলাই করতে চাইছে। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করার জন্য, নরেন্দ্র মেহতা এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে হবে পুলিশকে।’’ বিষয়টি নিয়ে তাঁরা প্রতিবাদে নামবেন বলেও জানান সাদিক বাদশা।
প্রশিক্ষন শিবিরের এই বিজ্ঞাপন সামনে এসেছে। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
আরও পড়ুন: বিজেপির ‘জয় শ্রীরাম’ নিয়ে এ বার ফেসবুকে তোপ মমতার
আরও পড়ুন: ‘গুন্ডামির স্কুল’ বন্ধ করব, চ্যালেঞ্জ বাবুলের, মন্ত্রীর বাড়ির সামনে সভা করে ‘জবাব’ দেবেন জিতেন্দ্র
ওই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজক সন্দীপ ভগত যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘দৌড়, লং জাম্প, যোগ ব্যায়াম এবং শারীরিক কসরতের প্রশিক্ষণ দিতেই জন্যই ওই শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ একেবারে মিথ্যা। খামোকা আমাদের বদনাম করার চেষ্টা চলছে।’’
বজরঙ্গ দলের বিরুদ্ধে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ যদিও এই প্রথম নয়। ২০১৬-য় একটি সোশ্যাল মিডিয়ায় অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেওয়ার একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়লে, অযোধ্যায় বজরঙ্গ দলের প্রধান মহেশ মিশ্রকে আটক করে পুলিশ। গত বছর ডিসেম্বরে বুলন্দশহর সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় এক পুলিশ অফিসার-সহ দু’জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় বজরঙ্গ দলের সদস্য যোগেশ রাজের বিরুদ্ধে হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।