বিজেপিতে যোগ দিলেন বৈজয়ন্ত জয় পণ্ডা। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
সামনে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজু জনতা দলের (বিজেডি) নেতা বৈজয়ন্ত জয় পণ্ডা। সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে স্বাগত জানানো হয় তাঁকে।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর নিজের টুইটার হ্যান্ডলে বৈজয়ন্ত লেখেন, ‘সহকর্গমী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে গত ন’মাস ধরে আলোচনার পর, মহাশিবরাত্রির দিন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ওড়িশা এবং দেশের সাধারণ মানুষের সেবায় ব্রতী হলাম।’
তবে বৈজয়ন্তের বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে বিজেডি আদৌ চিন্তিত নয় বলে জানিয়েছেন দলীয় সাংসদ প্রসন্ন আচার্য। তাঁর কথায়, “উনি বিজেপিতে যোগ দিতেই পারেন। তাতে বিজেডির জনপ্রিয়তায় ঘাটতি দেখা দেবে না। আগেও বিজেডি ছেড়ে চলে গিয়েছেন অনেকে। তবে সময় যত এগিয়েছে, আঞ্চলিক দল হিসাবে বিজেডির জনপ্রিয়তা বেড়েছে বই কমেনি।”
বৈজয়ন্তের টুইট।
আরও পড়ুন: নিহতের সংখ্যা গুনি না, আমরা শুধু লক্ষ্যে আঘাত করি, বললেন বায়ুসেনা প্রধান
আরও পড়ুন: ‘জঙ্গি নিকেশ হয়েছে তো? নাকি গাছ উপড়ে ফিরে এসেছে সেনা?’ সিধুর মন্তব্যে ফের বিতর্ক
২০০০ সাল থেকে বৈজয়ন্ত জয় পণ্ডা বিজেডি সাংসদ। দলের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ২০১৪-র নির্বাচনেও ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়া লোকসভা আসন থেকে বিজেডি প্রার্থী হয়েই ভোটে দাঁড়ান তিনি। সে বারও জয়ী হন। তবে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেডি সুপ্রিমো নবীন পট্টনায়ক এবং দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর বিরোধের সূত্রপাত ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে। সে বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি ওড়িশায় ভাল ফল করলে, পট্টনায়ক এবং বিজেডি শীর্ষ নেতৃত্বের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি প্রকাশ্যে নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসাও করতে দেখা যায় তাঁকে।
বৈজয়ন্তের এমন আচরণে বিজেডি শীর্ষ নেতৃত্ব নড়েচড়ে বসেন। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে গত বছর জানুয়ারি মাসে তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়।গত বছরের মে মাসে নিজেই দল থেকে ইস্তফা দেন তিনি। জুন মাসে ইস্তফা দেন সাংসদ পদ থেকেও।
তখন থেকেই তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা চলছিল। গত বছরের শেষদিকে সে ই সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়ে উঠলেও, শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে আসেন বৈজয়ন্ত। নিজের আলাদা দল গড়ার পাশাপাশি কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানো নিয়েও চিন্তাভাবনা শুরু করেন। তবে শেষ পর্যন্ত বিজেপির হাত ধরার সিদ্ধান্তই নেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে বিজেপির সদস্যপদ গ্রহণ করলেও, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। বরং লোকসভা নির্বাচনের সময়ই বিধানসভা নির্বাচন ওড়িশায়। সেই ওড়িশা দখলের লড়াইয়ে তাঁকে নামানো হতে পারে বলে জল্পনা, যাতে বিজেডির ভোটে ভাগ বসানো যায়।
(কী বললেন প্রধানমন্ত্রী, কী বলছে সংসদ- দেশের রাজধানীর খবর, রাজনীতির খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)