দুরন্তে অসুস্থ দম্পতির টাকার ব্যাগ লোপাট

ঘটনাটি ঘটেছে ডাউন যশবন্তপুর-হাওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেসে। দম্পতির নাম সুকুমার ও শান্তি দাস। পেশায় হকার সুকুমারবাবু স্নায়ুরোগী আর শান্তিদেবী হৃদ্‌রোগী। বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসা করিয়ে বৃহস্পতিবার যশবন্তপুর থেকে ট্রেনে ওঠেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৮ ০২:৫৬
Share:

কান্না: শান্তি দাস। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

গিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসা করানোর জন্য। ফেরার পথে ট্রেনে সর্বস্ব খোয়ালেন হাওড়ার মুন্সিরহাটের এক দম্পতি। ব্যাগের খোঁজে ট্রেনের এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত ছোটাছুটি করে কেঁদে আকুল হলেও কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি। তাঁদের অভিযোগ, টিকিট পরীক্ষক, রেলরক্ষী বাহিনী বা রেল পুলিশ কারও দেখা মেলেনি। এই ঘটনায় রেলে যাত্রী-সুরক্ষা ফের প্রশ্নের মুখে।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছে ডাউন যশবন্তপুর-হাওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেসে। দম্পতির নাম সুকুমার ও শান্তি দাস। পেশায় হকার সুকুমারবাবু স্নায়ুরোগী আর শান্তিদেবী হৃদ্‌রোগী। বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসা করিয়ে বৃহস্পতিবার যশবন্তপুর থেকে ট্রেনে ওঠেন তাঁরা।

সুকুমারবাবু বলেন, “আমার ও স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে মানুষের কাছে হাত পেতে টাকা জোগাড় করেছিলাম। ফেরার ট্রেনে ওঠার কিছু পরেই আমার ব্যাগ চুরি যায়।” এস-৯ কামরার ৪৬ ও ৪৭ নম্বর আসনের যাত্রী ছিলেন তাঁরা। সুকুমারবাবু জানান, স্ত্রীর কাছে ব্যাগপত্র রেখে তিনি ট্রেনের শৌচাগারে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে টিকিট পরীক্ষককে টিকিট দেখাতে গিয়ে দেখেন, ব্যাগটাই নেই। খোঁজাখুঁজি করেও ব্যাগ না-পেয়ে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে দাস দম্পতির। ওই ব্যাগেই নগদ এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, আধার-প্যান-ভোটার কার্ড এবং চিকিৎসার নথিপত্র ছিল বলে জানান সুকুমারবাবু।

Advertisement

দম্পতি জানান, ব্যাগ না-পেয়ে তাঁদের পাগলের মতো অবস্থা হয়। টিকিট পরীক্ষকের কাছে সাহায্য চাইতে গেলে তাঁদের বিজয়ওয়াড়া স্টেশনে নেমে রেলরক্ষী বাহিনীর কাছে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু প্রৌঢ় দম্পতি ভিন্‌ রাজ্যে সেটা করার সাহস দেখাতে পারেননি। শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টা নাগাদ ডাউন যশবন্তপুর-হাওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেস এসে পৌঁছয় হাওড়া স্টেশনের ১৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। তার পরে ওই দম্পতি হাওড়া জিআরপি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

ওই ট্রেনের এস-৭ কামরাতেও চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই কামরার যাত্রী অভিজিৎ দাসের ল্যাপটপ, হার্ডডিস্কের ব্যাগ চুরি হয়ে যায়। তাঁরাও হাওড়া জিআরপি থানায় অভিযোগ জানান। হাওড়া জিআরপি থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সব অভিযোগই যশবন্তপুর জিআরপি থানায় পাঠানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement