বদ্রীনাথ ধাম। ছবি: পিটিআই।
কেদারনাথ, যমুনোত্রী এবং গঙ্গোত্রী ধামের পর এ বার বদ্রীনাথ ধামের দরজাও খুলে দেওয়া হল পুণ্যার্থীদের জন্য । রবিবার সকাল ৬টা নাগাদ বদ্রীনাথ ধামের দরজা খুলে দেওয়া হয়। সেনা ব্যান্ড, বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে বদ্রীনাথ ধামের দরজা খোলা হয়। গত বছরের ১৮ নভেম্বর বদ্রীনাথ ধামের দরজা বন্ধ করা হয়েছিল। ছ’মাস পর আবার দরজা খুলতেই উপচে পড়েছে পুণ্যার্থীদের ভিড়। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী পুণ্যার্থীদের স্বাগত জানান।
উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে রয়েছে বদ্রীনাথ ধাম। প্রতি বছর এপ্রিলের শেষ কিংবা মে-র শুরু থেকে চারধাম যাত্রা শুরু হয়। নভেম্বর পর্যন্ত এই যাত্রা চলে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকাল থেকে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে চামোলিতে। কনকনানি ঠান্ডা আর বৃষ্টি উপেক্ষা করেও শয়ে শয়ে পুণ্যার্থী হাজির হয়েছেন।
অন্য দিকে যমুনোত্রীতে বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থী একসঙ্গে হাজির হওয়ায় পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। পুলিশকে রীতিমতো ঘোষণা করতে হচ্ছে পুণ্যার্থীরা যেন এই পুণ্যস্থানে যাত্রা আপাতত স্থগিত রাখেন। এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) উত্তরকাশী পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থী যমুনোত্রীতে এসেছেন। এই মুহূর্তে যদি আরও পুণ্যার্থী আসেন, তা হলে পরিস্থিতি বিগড়ে যেতে পারে, ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। তাই সকল পুণ্যার্থীর উদ্দেশে জানানো হচ্ছে, তাঁরা যেন রবিবার যমুনোত্রী আসার পরিকল্পনা বাতিল করেন।
আরও একটি টুইটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সুপার অর্পণ যদুবংশী নিজে সমস্ত বিষয় তদারকি করছেন। যান চলাচল থেকে শুরু করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা— সবই সমালাচ্ছেন তিনি। শুক্রবার খুলে দেওয়া হয়েছিল যমুনোত্রী ধাম। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই দিন ১৩ হাজার পুণ্যার্থী দর্শন করেন। প্রায় ৫ হাজার পুণ্যার্থীকে চার ঘণ্টারও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। শুক্রবারই খোলা হয় কেদারনাথ ধামের দরজা। প্রথম দিনে ২৯ হাজার পুণ্যার্থী ধাম দর্শন করেন।