—প্রতীকী চিত্র।
মহারাষ্ট্রের ঠাণের বদলাপুরে নিগৃহীত দুই শিশুর বাবা-মা জানিয়েছেন, শুরুতে গোটা ঘটনার দায় এড়িয়ে যেতে চেয়েছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। শিশুর যৌনাঙ্গে আঘাতের কারণ হিসাবে তাঁরা সাইকেল চড়ার অজুহাত দিয়েছিলেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রথমে অভিভাবকদের জানিয়েছিলেন, সাইকেল চড়তে গিয়েই যৌনাঙ্গে আঘাত পেয়েছে ওই দুই শিশু।
ইন্ডিয়া টুডে-কে নিগৃহীত শিশুদের অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা শিশুদের মেডিক্যাল রিপোর্ট স্কুলে দেখাতে গিয়েছিলেন। স্কুলে যে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে, তার অভিযোগও জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু শুরুতেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা। মেডিক্যাল রিপোর্টে শিশুদের নিগ্রহের যে প্রমাণ ছিল, তাকে সাইকেল চড়ার কারণে আঘাত বলে চালাতে চেয়েছিলেন শিক্ষিকারা। পরে থানায় গিয়েও তাঁদের হেনস্থা হতে হয় বলে অভিযোগ।
অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, স্কুলে শিশুদের নিগ্রহের ঘটনায় বিচার চেয়ে যখন বদলাপুরে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয়, পুলিশের তরফ থেকে তখন তাঁদের শাসানো হয়েছিল। কোনও ভাবেই যেন তাঁরা মিছিলে না যোগ দেন, সেই হুমকি থানা থেকে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এমনকি, তাঁদের সন্তানদের নিয়ে হাসপাতালেও দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়।
দিন দশেক আগে বদলাপুরের স্কুলে তিন এবং চার বছর বয়সি দুই শিশুকন্যাকে যৌন হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনা বেশ কিছু দিন পর প্রকাশ্যে আসে। অভিযুক্ত স্কুলেরই সাফাইকর্মী। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা, শ্রেণিশিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার প্রতিবাদে এবং স্কুলেপড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা রেল অবরোধ করেন। পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বদলাপুর। প্রতিবাদে বিরোধীরা মহারাষ্ট্র বন্ধের ডাকও দিয়েছেন। মহারাষ্ট্রের রাজনীতি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। তার মাঝেই স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির আরও এক নজির প্রকাশ্যে আনলেন নিগৃহীত শিশুদের অভিভাবকেরা।