ছবি: পিটিআই।
বদায়ূঁ গণধর্ষণ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মহন্ত সত্যনারায়ণ সিংহকে গত কাল রাতে গ্রেফতার করল উঘৈতি থানার পুলিশ। জেলাশাসক কুমার প্রশান্ত জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকেই এক অনুগামীর বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল মহন্ত। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তড়িঘড়ি জেরাও করা হয়। সেখানে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করতে গিয়ে বলেছে, ওই মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তার।
পুলিশ জানিয়েছে, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বছর পঞ্চাশের ওই মহিলাকে গণধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ উড়িয়ে অভিযুক্ত জানিয়েছে, নির্যাতিতা মহিলা-সহ দু’জনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। সেই নিয়েই বচসা হয়। রাগের মাথাতেই ওই মহিলা কুয়োয় ঝাঁপ দেন। সেই ঘটনায় ঘাবড়ে গিয়েই আত্মগোপন করেছিল বলে দাবি পুরোহিতের। একাধিক বার জেরা করা হলেও নিজের বক্তব্যেই অভিযুক্ত পুরোহিত অটল রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্য যে মহিলার সঙ্গে অভিযুক্তের সম্পর্ক ছিল, তার নাম-ঠিকানাও পুলিশের কাছে কবুল করেছে সত্যনারায়ণ।
৩ জানুয়ারি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ওই মহিলাকে গণধর্ষণের পরে তাঁর যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাঁর পাঁজর, পা ও ফুসফুস-সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে। গোপনাঙ্গেও গভীর ক্ষত পাওয়া গিয়েছে। বৃহস্পতিবার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য চন্দ্রমুখী দেবী জানান, সন্ধেয় নির্যাতিতা একা না বেরোলে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতেন না। মহিলা কমিশনের এক সদস্যের এ হেন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। প্রিয়ঙ্কার টুইট, ‘‘এই ধরনের ব্যবহারে কি মহিলাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব? মহিলা কমিশনের সদস্যই ধর্ষিতাকে দোষী সাব্যস্ত করছেন! বদায়ূঁ প্রশাসন এই নিয়ে চিন্তিত যে, ধর্ষিতার ময়না-তদন্তের রিপোর্ট কী ভাবে ফাঁস হল। মনে রাখবেন, এখনও মোরাদাবাদে এক ধর্ষিতা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।’’