সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, তেলঙ্গানার ৪৪ শতাংশ কৃষি জমির মালিক অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি)। ছবি: প্রতীকী
৮ বছর আগে তৈরি হয়েছে নতুন রাজ্য তেলঙ্গানা। সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, সেই রাজ্যের ৪৪ শতাংশ কৃষি জমির মালিক অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি)। তার পর রয়েছে এগিয়ে যাওয়া শ্রেণি (ফরওয়ার্ড ক্লাস)। তাদের হাতে রয়েছে ৪৩ শতাংশ কৃষিজমির মালিকানা। সমীক্ষাটি করেছে ঋতু স্বরাজ্য সমীক্ষা (আরএসভি) নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এরা মূলক কৃষকদের অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করে।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অন্য শ্রেণির মানুষের থেকে কৃষি জমি কিনেছেন অনগ্রসর শ্রেণির লোকেরা। এখন তাঁরাই মালিক। যদিও এই অনগ্রসর শ্রেণির মালিকের মধ্যে ২৬ শতাংশই নিজের জমিতে চাষাবাদ করেন। বাকিরা কোনও সরকারি বা বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। নয়তো ব্যবসা করেন।
সমীক্ষায় আরও জানানো হয়েছে, চাষের জন্য ভাড়া করা জমির ৪৯ শতাংশই নিয়েছেন অনগ্রসর শ্রেণির কৃষকেরা। ভাড়া করা জমির ৩৩ শতাংশ নিয়েছেন এগিয়ে যাওয়া শ্রেণির কৃষকেরা। দশ শতাংশ ভাড়া নিয়েছেন তফশিলি জাতি এবং ৭ শতাংশ ভাড়া নিয়েছেন তফশিলি উপজাতির লোক। সমীক্ষায় রাজ্যের ২০টি জেলার ২,৭৫৩ ভাড়াটে কৃষি শ্রমিক পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। এদের অনেকেই জমি ভাড়া নিয়ে চাষাবাদ করে পরে সেই জমির মালিক হয়েছেন। সমীক্ষাকারী সংস্থার সদস্য কিরণ কুমার জানিয়েছেন, অনেকেই বিনিয়োগের জন্য চাষের জমি কেনেন। তাঁরা কোনও কালেই চাষাবাদ করেন না।
রাজ্যসভার সাংসদ আর কৃষ্ণাইয়া জানান, নিজামাবাদ, আদিলাবাদ, করিমনগরে বেশির ভাগ কৃষি জমির মালিক মুন্নুরু কাপুস। মেদক আর সাঙ্গারেড্ডিতে বেশির ভাগ কৃষি জমির মালিক যাদব, গোল্লা, কুরুমা সম্প্রদায়ের।