পুতুল দিয়ে যৌন নিগ্রহ বোঝাল শিশুকন্যা

এই পরিস্থিতিতে অভিনব পন্থা নিয়েছিলেন দিল্লির অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক বিনোদ যাদব। শিশুটিকে একটি বার্বি ডল দিয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৭ ০৩:৩৪
Share:

বয়স মাত্র পাঁচ। এরই মধ্যে যৌন নির্যাতনের মতো ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিল একরত্তি শিশুটি। এর পরে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ধরা পড়েছে অভিযুক্তও। কিন্তু শিশুমনের ওপর নির্যাতন শেষ হয়নি তখনও। অভিযুক্তের আইনজীবীর অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে অভিনব পন্থা নিয়েছিলেন দিল্লির অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক বিনোদ যাদব। শিশুটিকে একটি বার্বি ডল দিয়েছিলেন তিনি। সেই পুতুলের মাধ্যমেই নিজের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিল শিশুটি। সেই বয়ানের ভিত্তিতে জেল হয়েছিল হানি নামে অভিযুক্ত যুবকের। দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল হানি। কিন্তু তার সাজা বহাল রেখে হাইকোর্ট বলেছে, নিম্ন আদালতে শিশুটি যে বয়ান দিয়েছিল তা বিচারের জন্য যথেষ্ট।

রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি এস পি গর্গ বলেছেন, মামলার নথিতে উল্লেখ রয়েছে, কী ভাবে বিবাদী পক্ষের আইনজীবীর ‘অশ্লীল’, ‘নোংরা’ ও ‘অবমাননাকর’ প্রশ্নের মুখে কুঁকড়ে গিয়েছিল শিশুটি। তার গোপনাঙ্গে নখের আঁচড়ের চিহ্ন প্রমাণ হিসেবে পেশ করা সম্ভব না হলেও সে ওই পুতুলের মাধ্যমে যা যা জানিয়েছে, তা-ই আদালত প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘‘পাঁচ বছরের একটা বাচ্চা তার বোধবুদ্ধিতে যেটুকু বোঝানো সম্ভব, বুঝিয়েছে। কী ভাবে গোপনাঙ্গে আঁচড়ে দেওয়া হয়েছিল, তার বিস্তারিত বিবরণ দিতে পারেনি বলে তার বয়ান বাতিল হয়ে যেতে পারে না।’’

Advertisement

২০১৪ সালে ১০ বছরের দাদার সঙ্গে স্কুল থেকে ফিরছিল শিশুটি। সে সময় হানি ওই শিশুর দাদাকে টাকা দিয়ে দোকান থেকে কিছু কিনে আনতে বলে। দাদা চলে যেতেই হানি শিশুটিকে তুলে নিয়ে যায় উত্তর-পশ্চিম দিল্লির নরেলা এলাকায়। সেখানে তার ওপর যৌন নির্যাতন চালানোর পরে বাড়ির সামনে শিশুটিকে ফেলে চলে যায়। ঘটনার পর থেকেই মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল শিশুটি। এমনকী বাবার সামনে একা থাকতেও ভয় পেত। পরে সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে হানিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এর পরে শিশুটির বয়ান রেকর্ড করার সময়ে তাকে পুতুল দিয়েছিলেন অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক। দেখেছিলেন, কথা বলতে বলতে পুতুলের জামার তলায় চলে যাচ্ছে তার হাত। বিচারক জানতে চেয়েছিলেন, তার সঙ্গে কি এ রকমই করা হয়েছিল? উত্তরে সে ‘হ্যাঁ’ বলে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement