১৬ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি রুদ্রাক্ষ বিলির আয়োজন করেছেন ‘মিশ্রজি’। সেখানে প্রতি দিন হাজার হাজার মানুষ জড়ো হচ্ছেন। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
‘বাবা’র দেওয়া রুদ্রাক্ষ আর জড়িবুটিতেই সারবে অসুখ। এই বিশ্বাসে ভিড় জমেছে মধ্যপ্রদেশের কুবেরেশ্বর ধামে। সেখানেই সুস্থ হতে এসে মারা গেল সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত এক শিশু। মৃত্যু হয়েছে এক মহিলারও। এ নিয়ে চাঞ্চল্য এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্র থেকে মধ্যপ্রদেশের কুবেরেশ্বর ধামে অসুস্থ শিশুকে নিয়ে এসেছিলেন এক দম্পতি। ‘শিব মহাপুরাণ’ কথক প্রদীপ মিশ্রের শরণাপন্ন হয়েছেন এমনই বহু ভক্ত। সবাইকে রুদ্রাক্ষ বিলি করছেন ‘মিশ্রজি’। সেখানে অসুস্থ শিশুটির শারীরিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে। অবশেষে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্য দিকে, ‘মিশ্রজি’-র শরণাপন্ন হওয়া ৫২ বছর বয়সি এক মহিলারও মৃত্যু হয়েছে বৃহস্পতিবার। তিনিও মহারাষ্ট্র থেকে এসেছিলেন বলে খবর।
১৬ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি রুদ্রাক্ষ বিলির আয়োজন করেছেন ‘মিশ্রজি’। সেখানে প্রতি দিন হাজার হাজার মানুষ জড়ো হচ্ছেন। তাঁদের বিশ্বাস, ওই রুদ্রাক্ষ নিলেই অসুখ-বিসুখ সেরে যাবে। দুরারোগ্য ব্যধি নিয়ে ভিন্ রাজ্য থেকে ওই স্থানে ছুটে আসছেন প্রচুর মানুষ। সেখানে আসা দু’জনের মৃত্যুতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
শেহর জেলার পুলিশ সুপার ময়ঙ্ক অবস্থি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘‘শিশুটি খুব অসুস্থ ছিল। অন্য অনেকের মতো তাকে ওই আশ্রমে নিয়ে আসা হয়েছিল সুস্থ করানোর আশায়। আধ্যাত্মিক নেতা শ্রী মিশ্র তাঁর ধামে রুদ্রাক্ষ বিলি করছিলেন। সেখানে আসার পর আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।’’
যদিও এই ঘটনার পরও ভিড় কমেনি আশ্রমে। কঠিন অসুখে ভোগা ব্যক্তিকে নিয়ে সেখানে ছুটে আসছেন পরিবারের সদস্যেরা। সবাই আশা করছেন ‘অলৌকিক’ কিছু ঘটবে। পুলিশ জানাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট আশ্রমে ভিড় এতটাই জমছে যে, ট্র্যাফিক সমস্যা দেখা দিয়েছে এলাকায়।