Ram Mandir Inauguration

মিথ্যে না বলার ব্রতও রাখতে হচ্ছে মোদীকে

প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে নিজের শুদ্ধিকরণের জন্য মোদী ১১ দিন ধরেই ব্রত শুরু করেছেন। সাত্ত্বিক খাবার খাচ্ছেন। মেঝেতে কম্বল পেতে শুচ্ছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৩১
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

শুধু সাত্ত্বিক খাবার খেয়ে, মেঝেতে শুয়ে পড়লে চলবে না। অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগে ১১ দিনের ব্রত চলাকালীন ‘অসত্য’ বলাও চলবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করতে যাওয়ার আগে আজ, শনিবার শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস এ কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন।

Advertisement

প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে নিজের শুদ্ধিকরণের জন্য মোদী ১১ দিন ধরেই ব্রত শুরু করেছেন। সাত্ত্বিক খাবার খাচ্ছেন। মেঝেতে কম্বল পেতে শুচ্ছেন। ডাবের জল ছাড়া আর কিছু পান করছেন না। আজ রামমন্দিরের প্রধান পুরোহিত বলেছেন, রোজ মন্ত্রোচ্চারণ করতে হবে। পাতায় খাবার খেতে হবে। ব্রহ্মচর্য পালন করতে হবে। অসত্য বলা চলবে না। শেষ নিয়মটি শুনে বিরোধী নেতারা মুখে কিছু না বললেও শুধু হেসেছেন।

রামমন্দির ঘিরে গোটা দেশে আবেগ-উন্মাদনা তৈরি করতে চাইছে মোদী সরকার, বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবার। এই আবেগের ঢেউ যাতে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতেও পড়ে, তা নিশ্চিত করতে মোদী অযোধ্যায় যাওয়ার আগে শনি ও রবিবারকে বেছে নিয়েছেন। শনিবার মোদী ছিলেন তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লীর শ্রী রঙ্গনাথস্বামী মন্দিরে। তার পরে রামেশ্বরমে গিয়ে তিনি আরুলমিগু রামানাথস্বামী মন্দিরে পুজো করেছেন। তার আগে রুদ্রাক্ষের মালা পরে ‘অগ্নিতীর্থ’ সৈকতে গিয়ে ডুব দিয়েছেন সমুদ্রে। দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে রাম ও রামায়ণের সম্পর্ক তুলে ধরেছেন। বিরোধীদের কটাক্ষ, কর্নাটক, তেলঙ্গানায় হারের পরে রামমন্দির আবেগ দক্ষিণ ভারতে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। এখন প্রধানমন্ত্রী তামিলনাড়ুর মন্দিরে মন্দিরে ঘুরছেন। এর পরে ভোটের প্রচারে তুলে ধরা হবে কর্নাটকের ভাস্করের মূর্তি অযোধ্যার মন্দিরে বসানোর বিষয়টি।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রের বক্তব্য, শ্রী রঙ্গনাথস্বামী মন্দিরের সঙ্গে রামের সম্পর্ক গভীর। এই মন্দিরে বিষ্ণুর অবতার শ্রী রঙ্গনাথ স্বামীর বিগ্রহকে খোদ রাম পুজো করেছিলেন এবং পরে রাম এই মূর্তি বিভীষণকে উপহার দিয়েছিলেন বলে বহু মানুষের বিশ্বাস। মন্দিরে তামিল কবি কম্ব-এর লেখা রামাবতারম বা তামিল রামায়ণ পাঠ শোনেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কর্তাদের বক্তব্য, যেখানে বসে কম্ব প্রথম তামিল রামায়ণ গেয়েছিলেন, সেখানেই মোদী বসেছিলেন। রামের সঙ্গে তামিলদের ও তামিলনাড়ুর গভীর সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন।

রবিবার তিনি যাবেন ধনুষ্কোডীর কোঠাণ্ডারামস্বামী মন্দিরে। এখানে রামের সঙ্গে প্রথম বিভীষণের দেখা হয়েছিল বলে অনেক মানুষের বিশ্বাস। তার পরে আরিচল মুনাই যাবেন। এখান থেকেই লঙ্কায় যাওয়ার সময়ে রামসেতু তৈরি হয় বলে অনেকের বিশ্বাস। বিরোধীরা বলছেন, মোদী যেন অযোধ্যার প্রধান পুরোহিতের কথা মনে রাখেন! প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগে অসত্য বলা চলবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement