National News

অধিকারের পক্ষে জমির খাজনার প্রমাণ দিন, অযোধ্যা মামলায় নির্মোহী আখড়াকে বলল সুপ্রিম কোর্ট

রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মোট ১৪টি মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলাগুলি একত্রিত করে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি চলছে প্রতিদিন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৯ ১৮:৫৩
Share:

সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার শুনানি।

মধ্যস্থতাকারীরা সমাধান করতে পারেননি। ফলে অযোধ্যা মামলা ফের ফিরেছে সুপ্রিম কোর্টেই। চলছে টানা শুনানি। সেই শুনানিতেই বুধবার নির্মোহী আখড়া নিজেদের দাবির স্বপক্ষে প্রমাণ দিতে বলল শীর্ষ আদালত। মৌখিক প্রমাণ বা নথি দিয়ে দাবি প্রমাণ করতে হবে, বললেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই অযোধ্যা মামলা নিষ্পত্তি করতে মধ্যস্থতা কমিটি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কমিটির সদস্যরা কোনও সমাধান করতে পারেননি। তাই মামলা ফের সুপ্রিম কোর্টে ফিরে এসেছে। ২০১০ সালে অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং রাম লালা— এই তিন পক্ষের মধ্যে সমান ভাবে ভাগ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মোট ১৪টি মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলাগুলি একত্রিত করে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি চলছে প্রতিদিন।

প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ছাড়াও বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং বিচারপতি এসএ নাজির। বুধবারের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি নির্মোহী আখড়ার আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘এখন আমরা অধিকার (অযোধ্যার জমির উপর) নিয়ে বিচার করছি। আপনাদেরকেই সেই অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আপনাদের কাছে জমির খাজনার কোনও নথি থাকলে সেটা ভাল প্রমাণ হতে পারে।’’

Advertisement

আরও পডু়ন: শ্রীনগরে পুলিশের তাড়া খেয়ে বিক্ষোভকারীর মৃত্যু, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললেন ডোভাল

আরও পড়ুন: ৩৭০-এর ধাক্কা! আতঙ্কে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ছাড়ছেন বাসিন্দারা

কোন অধিকারের দাবি করছে নির্মোহী আখড়া? তাদের বক্তব্য, বহু প্রাচীন কাল থেকেই এই জমি আখড়ার অধীনে ছিল। সেখানে সেবাইতরা দেবতাদের পুজো-পার্বনের কাজ করতেন। জমিটি সেবাইতদের জন্যই উৎসর্গ করা ছিল। তাই এই জমির উপর অধিকার এবং পরিচালনার ভার আখড়ার উপরেই ছাড়া হোক, দাবি আখড়ার আইনজীবীর। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের স্পষ্ট বক্তব্য, খাজনার রেকর্ড ছাড়া অন্য নথি বা মৌখিক প্রমাণ দিয়ে প্রমাণ করুন যে ওই জমি সেবাইতদের অধীনে ছিল।’’

আগামিকাল বৃহস্পতিবার শুনানিতে মামলার অন্য কোনও একটি পক্ষের বক্তব্য শুনতে পারে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement