আজ মহারাষ্ট্র নিয়ে শুনানি সুপ্রিম কোর্টে। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
অযোধ্যার বিতর্কিত রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলা ঘিরে মতবিরোধ অব্যাহত। জমির দাবি ছাড়ার প্রস্তাবে তাদের সায় নেই বলে শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছে মামলায় অংশ নেওয়া মুসলিম পক্ষের একাংশ। এ বার ওই মুসলিম পক্ষকেই জমির অংশীদার বানানো যাবে না বলে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিল রাম লাল্লা বিরাজমান। তাদের যুক্তি, বাবরি মসজিদের অস্তিত্ব আর নেই। তাই বিতর্কিত ওই জায়গায় মুসলিম আবেদনকারীদের জমির ভাগ দেওয়া যাবে না। কোনও রকম সুরাহা বা স্বস্তিও দেওয়া যাবে না তাদের।
শনিবার শীর্ষ আদালতে ওই এফিডেভিটটি জমা দেন রাম লাল্লা বিরাজমান সংগঠনের আইনজীবীরা। তাতে বলা হয়, ‘অযোধ্যা একটি পবিত্র তীর্থ স্থান। মন্দির বা মূর্তি না থাকলেও, হিন্দুদের কাছে অযোধ্যার ঐশ্বরিক ও আধ্যাত্মিক গুরুত্ব রয়েছে। বিতর্কিত ওই জায়গায় মসজিদের পুনর্নির্মাণ অন্যায়, অনুচিত। তা হিন্দু ধর্ম, ইসলামি আইন এবং ন্যয় বিচারের পরিপন্থী। ওই জায়গা অখণ্ড এবং অবিভাজ্য। রাম জন্মস্থান হিসাবেই ওই জায়গায় আরাধনা হওয়া উচিত।’
অন্য দিকে, এ দিন নির্মোহী আখড়ার তরফেও আদালতে একটি আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বিতর্কিত ওই জায়গা যে হিন্দু সংগঠনের পক্ষেই যাক না কেন, পুজো-আচ্চার অধিকার যেন তাদের দখলেই থাকে। মুসলিমদের জমির অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পক্ষে আদালতে আবেদন জমা দিয়েছে রাম জন্মভূমি পুনরুদ্ধার সমিতিও। মন্দির নির্মাণ হলে সেখানে একটি ‘ট্রাস্ট’ গঠনের প্রস্তাবও দিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: সমঝোতায় সায় নেই, জানাল মুসলিম পক্ষের একাংশ, নয়া মোড় অযোধ্যা মামলায়
আরও পড়ুন: মেয়েদের স্কুলে শিক্ষক নয়, পড়াবেন শিক্ষিকারাই, নয়া ‘দাওয়াই’ রাজস্থানের মন্ত্রীর!
টানা ৪০ দিন পর গত বুধবার অযোধ্যা মামলার শুনানি শেষ হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আগামী ১৭ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে রায় ঘোষণা করতে পারে শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ। ওই দিনই প্রধান বিচারপতি হিসাবে মেয়াদ শেষ হচ্ছে রঞ্জন গগৈয়ের।