হরদীপ সিংহ পুরি। ফাইল চিত্র।
বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে দেশের বিমানমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীর বয়ান।
এই সপ্তাহের গোড়ায় সাংবাদিক বৈঠকে বিমানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ১৭ মে পর্যন্ত লকডাউন। তার পর সাধারণ যাত্রিবিমান চালু করা হবে কি না, তা নির্ভর করবে পরিস্থিতির উপরে। আর শুক্রবার তিনিই একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘১৫ মে-র আগেই দেশীয় উড়ান চালু করার চেষ্টা করছি।’’
মন্ত্রীর এই বক্তব্য শুনে একাধিক উড়ান সংস্থার কর্তাদের দাবি, এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের নির্দেশ মেনেই গোটা মে মাসে টিকিট বিক্রি বন্ধ রেখেছেন তাঁরা। আর উড়ান শুরু হওয়ার অন্তত দশ দিন আগে থেকে টিকিট বিক্রি চালু করার কথা। সে ক্ষেত্রে ১৫ মে কী করে উড়ান চালু হবে?
মন্ত্রী আগে জানিয়েছিলেন, দেশের যে সব শহর গ্রিন জ়োনে রয়েছে, উড়ান প্রাথমিক ভাবে সেখান থেকে শুরু হবে এবং সংখ্যাও এক-চতুর্থাংশ কমে যাবে। এ-ও আবার বলছেন, রেড জ়োনে থাকা দেশের মূল শহর থেকেও আস্তে আস্তে উড়ান পরিষেবা চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে। উড়ান সংস্থার কর্তাদের দাবি, সে ক্ষেত্রেও আগে থেকে টিকিট বিক্রির সুবিধা তো দিতে হবে। নয়তো যাত্রীরা বিমানে উঠবেন কী করে?
তবে মন্ত্রীর বক্তব্য শুনে অনেকেই বলছেন, তিনি কি বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফেরাতে এয়ার ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক সূচির (৬৪টি উড়ান) কথাই বোঝাতে চেয়েছেন? সেই সূচিতে ১৭ মে পর্যন্ত উড়ান চালানোর কথা বলেছে এয়ার ইন্ডিয়া এবং শেষ তিন দিনে ন’টি উড়ানের মধ্যে আটটিই দেশীয় উড়ান। কারণ, এয়ার ইন্ডিয়ার একটি সূত্র জানাচ্ছে, যে উড়ানগুলি আমেরিকা থেকে ১৪-১৫ মে রওনা হচ্ছে, সেগুলি নামছে ১৬-১৭ তারিখে। দিল্লিতে নামা বিমান থেকে হায়দরাবাদের যাত্রীদের নিয়ে দেশীয় উড়ান হায়দরাবাদ উড়ে যাবে। একই ভাবে মুম্বই থেকে চেন্নাই যাবে বিমান। যেহেতু দেশের এক শহর থেকে অন্য শহরে যাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাই সম্ভবত একেই দেশীয় যাত্রী উড়ান চালানো শুরু বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।
তবে এ প্রশ্নও উঠছে, এই উড়ানে তো শুধু বিদেশ থেকে আসা ভারতীয়দের নিয়ে যাওয়া হবে। অন্য কেউ এই বিমানে যেতে পারবেন না। তা হলে কেন তাকে দেশীয় উড়ান বলে মন্ত্রী উল্লেখ করছেন।