ধৌলিগঙ্গার অববাহিকায় সেই তুষারধসের ছবি। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
জোশীমঠের অদূরে মালারির কাছে পাহাড়ে ধস নামতে শুরু করেছে। উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার তথ্য আধিকারিক রবীন্দ্র সিংহ নেগি সোমবার জানিয়েছেন, গঙ্গার শাখানদী ধৌলিগঙ্গার অববাহিকায় ভূমিধসের ঘটনা দেখা গিয়েছে।
উত্তরাখণ্ড সরকার জানিয়েছে, জোশীমঠ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে নেতি উপত্যকায় পাহাড় থেকে বিপুল পরিমাণ তুষার এবং পাথর ধৌলিগঙ্গা নদীখাতে এসে পড়ে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হঠাৎ ধসের পর ধৌলিগঙ্গায় হড়পা বান দেখা গিয়েছিল। ওই ঘটনায় নির্মীয়মাণ তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বেশ কয়েক জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এ বার তাই বাড়তি সতর্ক প্রশাসন।
জোশীমঠের মতোই মালারিতেও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণ হিসাবে পরিকল্পনাহীন উন্নয়ন কর্মসূচিকেই দায়ী করেছেন পরিবেশবিদদের একাংশ। তাঁদের মতে, উত্তরাখণ্ডের উঁচু পাহাড়ের গায়ে চিরসবুজ পাইনের জঙ্গল। তা যেমন জল ধরে রাখে, তেমনই শিকড়ের কামড়ে মাটির কণাকে আগলে রাখে। তাই গঢ়ওয়ালি মানুষেরা বংশপরম্পরায় পাইনের জঙ্গলকে পুজো করে এসেছেন। জঙ্গল নিধনের পালা পুরোদমে শুরু হয় প্রায় এক দশক আগে। ফলে উত্তরাখণ্ডে ভূমিক্ষয়ের পরিমাণও বাড়তে শুরু করেছে।