টাকা দিতে আপত্তি জানানোয় ফুটপাতবাসী বার বার ওই অটোচালককে ঘুষি মারতে শুরু করেন। প্রতীকী ছবি।
অটোর ভাড়া হয়েছিল ১৪০ টাকা। কিন্তু অটোচালকের কাছে ভাড়া ফিরিয়ে দেওয়ার মতো খুচরো ছিল না। তাই রাস্তাতেই তাঁকে মারধর করতে শুরু করেন এক ফুটপাতবাসী। গুরুতর জখম হলে অটোচালকটিকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। শনিবার হায়দরাবাদের অফজলগঞ্জের এক বেসরকারি হাসপাতালের সামনে এই ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, অটোচালকের নাম শাইক আমজাদ (৬২)। হুমায়ুননগরের বাসিন্দা তিনি।
প্রাত্যহিক রুটিনমাফিক শনিবারও বাড়ি থেকে অটো নিয়ে ভাড়া খাটাতে বেরিয়েছিলেন শাইক। শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে যাবেন বলে এক মহিলা শাইকের অটোয় চড়ে বসেন। গন্তব্যস্থলে নামার পর দেখা যায় যে, ১৪০ টাকা অটোর ভাড়া হয়েছে। ভাড়া মেটানো নিয়েই শুরু হয় ঝামেলা। ওই মহিলা শাইকের হাতে ২০০ টাকার নোট ধরান। কিন্তু শাইকের কাছে খুচরো না থাকায় ২০০ টাকার নোট তিনি ভাঙিয়ে দিতে পারবেন না বলে জানান। অটোর সামনের ফুটপাতে এক জন বসেছিলেন।
কোনও উপায় না পেয়ে মহিলাটি সেই ফুটপাতবাসীর কাছেই যান। তাঁর কাছে ১৪০ টাকা খুচরো নিয়ে অটোচালককে দিয়ে হাসপাতালের ভিতরে চলে যান মহিলা। তার পর অটোচালকের সঙ্গে বচসায় জড়ান ফুটপাতবাসী। শাইকের কাছে ১০০ টাকা চান তিনি। শাইক টাকা দিতে আপত্তি জানানোয় ফুটপাতবাসী বার বার তাঁকে ঘুষি মারতে শুরু করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় শাইককে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীন মারা যান তিনি। তদন্তে নেমে সিসি ক্যামেরা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকেরা আশ্বাস দিয়েছেন যে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।