বিক্ষুব্ধ কৃষকদের বিরুদ্ধে কঠোর ধারায় মামলা।— ফাইল চিত্র
হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের কনভয় আটকে ছিলেন যে সব বিক্ষুব্ধ কৃষকরা, তাঁদের মধ্যে ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা এবং দাঙ্গায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে তদন্ত রুজু করল হরিয়ানা পুলিশ। ওই ১৩ কৃষকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭ (দাঙ্গায় উস্কানি), ১৪৯ (দাঙ্গায় উস্কানি এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে সমাবেশ) এবং ৩০৭ (হত্যার চেষ্টা)-সহ বেশ কিছু ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার অম্বালায় পুর নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর কৃষকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তাঁর কনভয় আটকে কালো পতাকা দেখানো হয়। বিক্ষোভকারীরা মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির উপরেই লাঠি মারতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। পঞ্জাব-হরিয়ানায় বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি নেতাদের বিরোধিতার মুখে পড়তে হচ্ছে। তাঁদের বয়কটেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৃষকেরা। এর পরই বিক্ষুব্ধ কৃষকদের ১৩ জনের বিরুদ্ধে কঠোর ধারা প্রয়োগ করল হরিয়ানা সরকার।
আরও পড়ুন: কোভিশিল্ডে ছাড়পত্র কি আগামী সপ্তাহেই
হরিয়ানা পুলিশের এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। হরিয়ানা কংগ্রেসের প্রধান কুমারী শৈলজা বলেন, ‘‘কৃষকদের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ এনে হরিয়ানা সরকার ধৈর্যের সব সীমা অতিক্রম করে গেল। কৃষকদের বিরুদ্ধে হত্যা এবং দাঙ্গার মতো গুরুতর অভিযোগ আনা প্রমাণ করল সরকার কতটা মরিয়া হয়ে উঠেছে। গণতন্ত্রে বাক্স্বাধীনতা স্বীকৃত। কিন্তু কৃষকদের কণ্ঠস্বর ক্রমেই চেপে দেওয়া হচ্ছে। মানুষ সরকারের উপর বিশ্বাস হারিয়েছে। এ জন্যই মুখ্যমন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখানো হয়েছে। অবিলম্বে সরকারের উচিত এই ধারা তুলে নেওয়া।’’
আরও পড়ুন: ক্ষতে প্রলেপ দিতে বড়দিনে মোদীর ‘সভা’, তবু বৈঠকে ‘না’ চাষিদের