ফাইল চিত্র।
আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে এ বার দেশে তৈরি অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম কেনায় জোর দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। মঙ্গলবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বাধীন ‘প্রতিরক্ষা সামগ্রী ক্রয় বিষয়ক কমিটি’ (ডিএসি) ভারতে তৈরী প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে একে ‘বড় পদক্ষেপ’ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রিগোষ্ঠী (সিসিএস)-র সিদ্ধান্ত মেনেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কয়েক বছর পরেই অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের সংস্থানে ভারতের পুরনো নীতি বদলে দেওয়ার কথা বলেছিলেন মোদী। কয়েক মাস আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছিল, সেই উদ্দেশ্য অনেকটাই পূরণ হয়েছে। জানানো হয়েছিল, ২০২১-’২২ অর্থবর্ষে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের জন্য বাজেট বরাদ্দের মোট ৬৪ শতাংশ অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ক্ষেত্রে ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু তা ছাপিয়ে গিয়ে ব্যয় হয়েছে ৬৫.৫ শতাংশ।
ওই অর্থবর্ষে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের জন্য বরাদ্দের ৯৯.৫ শতাংশ ব্যয় করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। পাশাপাশি, আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিতে কাটছাঁট করতে কয়েক বছর আগেই সক্রিয় হয়েছিল মোদী সরকার। ‘অস্ত্র আমদানিকারক দেশ’ থেকে ভারতকে ‘অস্ত্র রফতানিকারক দেশ’-এ পরিণত করার উদ্দেশ্যে বিদেশ থেকে অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি নিয়ে নতুন করে পর্যালোচনা শুরু হয়।
প্রতিরক্ষা উৎপাদনে ভারতকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে গত বছর প্রথম ধাপে১০১টি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদী সরকার। বিদেশি নির্ভরতা কমাতে বিভিন্ন ধরনের রাইফেল, ক্ষেপণাস্ত্র, কামান, ড্রোন, যুদ্ধে ব্যবহারের হালকা হেলিকপ্টার থেকে ভারী পণ্যবাহী বিমান আমদানিতে ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বার দেশীয় অস্ত্র ও সরঞ্জাম কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই ‘শূন্যতা’ পূরণের অভিযান শুরু হল।