Child Death

অক্সিজেন না পেয়ে ৪৯ শিশুর মৃত্যু, ফের যোগীরাজ্যেই

শিশুদের পরিবারের অভিযোগ, অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, ওষুধের অভাব ছিল বলেও দাবি ওই সব পরিবারের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ফর্রুখাবাদ (উত্তরপ্রদেশ) শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৮:২৫
Share:

রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল।— ফাইল চিত্র।

গোরক্ষপুরের বিআরডি হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় এখনও পরিষ্কার কোনও কিনারা হয়নি। তারই মধ্যে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে ফের এক সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন না পেয়ে শিশুমৃত্যুর ঘটনা সামনে এল। এ বার অভিযোগ, ফর্রুখাবাদের রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের বিরুদ্ধে। সেখানে গত ৩০ দিনে ৪৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এর মধ্যে ১৯ জন সদ্যোজাত। অক্সিজেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাবেই এই মৃত্যুর ঘটনা বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই জেলাশাসক রবীন্দ্র কুমার, জেলার চিফ মেডিক্যাল অফিসার উমাকান্ত পাণ্ডে ও চিফ মেডিক্যাল সুপার বি পি পুষ্করকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

শিশুদের পরিবারের অভিযোগ, অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, ওষুধের অভাব ছিল বলেও দাবি ওই সব পরিবারের। শিশুমৃত্যুর অভিযোগ ওঠার পরই গতকাল, রবিবার, রাতে পাণ্ডে এবং পুষ্করের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। চাপে পড়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলা শাসক রবীন্দ্র কুমার। কিন্তু পরে তাঁকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ছিনতাই রুখতে দিয়ে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত মহিলা

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে খবর, বেশ কয়েকজন নবজাতকের মৃত্যু হওয়ায় চিফ মেডিক্যাল অফিসার ও চিফ মেডিক্যাল সুপারের কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। এর পর জেলাশাসক হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে মৃত নবজাতকদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আধিকারিকদের ভুল তথ্য দেওয়া এবং তদন্তে সাহায্য না করার অভিযোগ জানান হয় জেলা শাসককে।

আরও পড়ুন: পড়ুয়ার আত্মহত্যায় বিক্ষুব্ধ তামিলনাড়ু

গোরক্ষপুর হাসপাতালে শতাধিক শিশুমৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে যোগী প্রশাসনকে। আদিত্যনাথের নিজের কেন্দ্র গোরক্ষপুরে এতগুলি শিশুর মৃত্যুর জন্য সার্বিক ভাবে বিজেপিকেও অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। এ বার ফর্রুখাবাদের ঘটনা অস্বস্তি এবং চাপ নিঃসন্দেহে আরও বাড়াবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement