চিঁড়েচ্যাপ্টা: সেতু ভেঙে পড়ে যাওয়া সেই মিনিবাস। চলছে উদ্ধারকাজ। শনিবার কোহলাপুরে। ছবি: পিটিআই।
যাত্রী বোঝাই মিনিবাস সেতু ভেঙে নদীতে পড়ে মৃত্যু হল ১৩ জনের। গুরুতর আহত আরও ৩ যাত্রী। মহারাষ্ট্রের কোহলাপুরের এই দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে রয়েছে একই পরিবারের ৯ সদস্য। রয়েছে নয় মাসের একটি শিশুও।
গত কাল রাত পৌনে বারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। কোহলাপুর পুলিশ জানিয়েছে, বাসের অধিকাংশ যাত্রীই পুণের বালেওয়াদী এলাকার বাসিন্দা। তাঁরা কোঙ্কন এলাকার গণপতিপুল থেকে পুণেতে ফিরছিলেন। দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাসটিতে ছিলেন তিনটি পরিবারের সদস্যরা। মুম্বই থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে পশ্চিম মহারাষ্ট্রের কোহলাপুরে পঞ্চগঙ্গা নদীর উপর ১৩০ বছরের পুরনো শিবাজি ব্রিজের উপর ওঠে বাসটি। হঠাৎই প্রচন্ড গতিতে চলা বাসটির উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। ব্রিজের রেলিংয়ে গিয়ে ধাক্কা মারে বাসটি। সেতু ভেঙে পড়ে যায় প্রায় ১০০ ফুট নীচে, নদীতে। তবে বাসটি নদীর পাড়ের কাছাকাছি পড়েছিল। তাই এর একাংশ জলে ডোবেনি। সেই অংশে বসেছিলেন যে যাত্রীরা, গুরুতর আহত হলেও মৃত্যু হয়নি তাঁদের।
জনৈক প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনাটি জানানোর পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ ও দমকল বিভাগের কর্মীরা। উদ্ধারের কাজ দ্রুত শুরু হয়ে যায়। প্রথমে ১১ জনের মৃতদেহ মেলে। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৩ জনকে। হাসপাতালে এদের ১ জনের মৃত্যু হয়। পরে একটি শিশুর মৃতদেহ মেলে। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় আরও এক যাত্রীকে । মৃতদের মধ্যে রয়েছে ৩ জন মহিলা ও ৭টি শিশু। বাসটির চালকেরও মৃত্যু হয়েছে।
দুর্ঘটনার খবর বালেওয়াদী এলাকায় পৌঁছতেই নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, কেদারী পরিবার বেড়াতে গিয়েছিল গণপতিপুল এলাকায়। ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা। ওই পরিবারের সদস্য মানদা কেদারীর চোখের সামনে মৃত্যু হয়েছে তাঁর ছেলে, পুত্রবধূ আর নাতি-নাতনির। গুরুতর আহত মানদা এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।