সংখ্যালঘু কী, ফের মামলা সুপ্রিম কোর্টে

অশ্বিনীকুমারের মতে, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাসস্থান ও যে কোনও পেশায় থাকার মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে কেন্দ্রের ২৬ বছর আগের ওই বিজ্ঞপ্তি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৯ ০৪:১৭
Share:

সুপ্রিম কোর্ট।

কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ ও পার্সিদের সংখ্যালঘু ঘোষণা করেছিল ২৬ বছর আগে। সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে ফের আবেদন জমা পড়ল সুপ্রিম কোর্টে। জনস্বার্থ আবেদনটি করেছেন অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়। বিজেপি সদস্য এই আইনজীবীর আর্জি, জাতীয় গড়ের ভিত্তিতে সংখ্যালঘু না-বলে, রাজ্যওয়াড়ি জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংখ্যালঘু নির্ধারণ হোক। আদালতই সংখ্যালঘু শব্দের সংজ্ঞা নির্ধারণের ‘গাইডলাইন’ তৈরি করে দিক। কারণ, জাতীয় ভাবে হিন্দুদের সংখ্যাগুরু গণ্য করা হলেও জম্মু-কাশ্মীর, পঞ্জাব, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও লক্ষদ্বীপে হিন্দুরাই আসলে সংখ্যালঘু। সেখানে সংখ্যালঘু হিসেবে প্রাপ্য সুবিধা তাঁরা পাচ্ছেন না। সংবিধানের ১৪, ১৫, ১৯ ও ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা অধিকার থেকেও হিন্দুরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

Advertisement

অশ্বিনীকুমারের মতে, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাসস্থান ও যে কোনও পেশায় থাকার মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে কেন্দ্রের ২৬ বছর আগের ওই বিজ্ঞপ্তি। সংবিধানের প্রস্তাবনায় সাম্য, ন্যায়বিচার ও ধর্মনিরপেক্ষতার যে মূল লক্ষ্যের কথা বলা রয়েছে, সরকারি বিজ্ঞপ্তিটি তারও পরিপন্থী। বিষয়টি নিয়ে আগেও শীর্ষ আদালতে অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি সদস্য অশ্বিনীকুমার। গত ১১ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের কাছে যেতে বলে। কমিশনকে ৩ মাসে সিদ্ধান্ত জানানোরও নির্দেশ দেয় আদালত। অশ্বিনী জানিয়েছেন, ওই কমিশন শুধু নয়, কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র এবং আইন ও বিচার মন্ত্রকও তাঁর প্রশ্নে সাড়া দেয়নি। তাই ফের এই আর্জি। তাঁর দাবি, ১৯৯২ সালের জাতীয় সংখ্যালঘু আইনের ২(সি) ধারাটিকে বাতিল ঘোষণা করা করুক সুপ্রিম কোর্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement