দিল্লিতে কংগ্রেস সদর কার্যালয়ের সামনে সমর্থকদের উল্লাস। ছবি: পিটিআই
মিনিটে মিনিটে পাল্টাচ্ছিল মধ্যপ্রদেশের ভোটভাগ্য। দিনভর কার্যত পেন্ডুলামের মতো দুলছিল ভোটের ফলাফল। তবে দিনের শেষে শেষ হাসি হাসতে চলেছে কংগ্রেসই। ছত্তীসগঢ়-রাজস্থানের মতোই মধ্যপ্রদেশেও ক্ষমতায় আসতে চলেছে কংগ্রেস।
ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেসের ক্ষমতায় ফেরা নিশ্চিত। ৯০ আসনের বিধানসভায় ইতিমধ্যেই ম্যাজিক ফিগারের থেকেও বেশি আসনে জয়ী কংগ্রেস। ১৫ বছরের বিজেপি সরকারের পতন ঘটিয়ে ফের ক্ষমতায় ফিরল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার খোয়াচ্ছেন রমন সিং। রাজস্থানেও এক সময় কার্যত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শুরু হয়েছিল। তবে মরুরাজ্যেও শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছে কংগ্রেস। গদিচ্যূত হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া।
তেলঙ্গানায় দ্বিতীয় বারের জন্য সরকার গড়তে চলেছে তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি। দ্বিতীয় স্থানে কংগ্রেস-টিডিপি জোট থাকলেও তারা অনেক পিছিয়ে। তবে উত্তর-পূর্বের শেষ দুর্গও খোয়াল কংগ্রেস। ৪০ আসনের মিজোরাম বিধানসভায় হাত শিবিরকে ধরাশায়ী করে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় দখল করল মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট।
ভোটের ফলাফল মোটামুটি স্পষ্ট হতেই দুপুরের দিকে দশ জনপথে সোনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করতে যান রাহুল গাঁধী। ভোট পরবর্তী সরকার গঠন প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে দু’জনের কথা হয় বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে বিজেপিকে সমর্থন করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী মায়াবতী। মধ্যপ্রদেশে বিএসপি-র কাছে সমর্থন চেয়েছে কংগ্রেস। সে বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত না জানালেও দলের জয়ী বিধায়কদের দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছেন মায়াবতী।
দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বলেন, ‘‘এটা শেষের শুরু। লোকসভা নির্বাচনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেল। এই জয় আমাদের সবার।’’ তার আগে সকালের দিকেই টুইটারে তাঁর বক্তব্য, ‘‘মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। এটা জনতার রায় এবং জনতার জয়। এই জয় গণতন্ত্রের জয়।’’
রাজস্থানের কংগ্রেস নেতা সচিন পায়লট বলেন, ‘‘শুধু রাজস্থান নয়, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়েও সরকার গড়ছে কংগ্রেস। এই জয় মানুষের জয়। রাজ্যের মানুষ যেটা চেয়েছিলেন, তাই হচ্ছে। কংগ্রেস নেতাদের আমি ধন্যবাদ দিচ্ছি। তাঁদের সবার যৌথ প্রচেষ্টাতেই এই জয় সম্ভব হয়েছে। ঠিক এক বছর আগে রাহুল গাঁধী কংগ্রেস সভাপতি হয়েছিলেন। এই জয় তাঁর জন্য উপহার।’’
The BJP office in Raipur . At 9 38 am . An indication of which way things are going in Chattisgarh or is it too early to say anything ? #resultswithndtv pic.twitter.com/TBhna0OXBG