ছত্তীসগঢ়ের অম্বিকাপুরে নির্বাচনী জনসভায় নরেন্দ্র মোদী। ভিডিয়ো থেকে নেওয়া ছবি
রাফাল নিয়ে বিরোধীরা প্রায় প্রতিদিন নতুন নতুন তোপ দাগছেন। পিএনবি থেকে সিবিআই, আরবিআই প্রসঙ্গেও ধেয়ে আসছে আক্রমণ। কিন্তু ছত্তীসগঢ়ে ভোটপ্রচারে সেসব নিয়ে একটি শব্দও খরচ করলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বরং কার্যত পুরনো মদই নতুন বোতলে পেশ করলেন। চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন, ‘‘হিম্মত থাকলে গাঁধী পরিবারের বাইরের কাউকে পাঁচ বছরের জন্য কংগ্রেস সভাপতির পদে বসিয়ে দেখুক কংগ্রেস।’’
প্রসঙ্গ ছিল ‘চা-ওয়ালা’ এবং জওহরলাল নেহরু। সম্প্রতি যার সূত্রপাত করেছিলেন কংগ্রেস নেতা শশী তারুর। বলেছিলেন, দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে পণ্ডিত নেহরু এমন ভাবে তৈরি করেছিলেন, যাতে এক জন চা-ওয়ালাও দেশের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে পারেন। শুক্রবার তারই জবাব দিলেন মোদী।
২০ নভেম্বর ছত্তীসগঢ়ে দ্বিতীয় দফায় বিধানসভার ভোটগ্রহণ। শুক্রবার অম্বিকাপুরে নির্বাচনী জনসভা থেকে মোদী বলেন, ‘‘আমি চ্যালেঞ্জ করছি, গাঁধী পরিবারের বাইরের কাউকে অন্তত পাঁচ বছরের জন্য দলের সভাপতি করে দেখাক কংগ্রেস। তার পর বলব, নেহরুজি প্রকৃতপক্ষেই দেশে গণতান্ত্রিক কাঠামো চালু করেছিলেন।’’
আরও পডু়ন: অন্ধ্রে ঢুকতে পারবে না সিবিআই, বিজ্ঞপ্তি জারি চন্দ্রবাবুর, সমর্থন করলেন মমতা
আরও পডু়ন: ছবি এঁকে রোজগার করলেও চোর! তোপ মমতার, এবার কি সিবিআইয়ের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ?
(ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।)
ছত্তীসগঢ়ের আগের নির্বাচনী সভাগুলির মতোই এদিনও গাঁধী পরিবারকে নিশানা করেই চলতে থাকে মোদীরপর পর আক্রমণ। ‘‘গাঁধী পরিবার চার প্রজন্ম দেশকে শাসন করেছে। এবার তাঁদের জবাব দিতে হবে তাঁরা দেশকে কী দিয়েছেন। আপনারা গরিব মানুষের দুঃখ-দুর্দশা বুঝতে পারেন না। কিন্তু এক জন চা-ওয়ালা পারেন।’’, বলেন মোদী।
ভোটের খবর, জোটের খবর, নোটের খবর, লুটের খবর- দেশে যা ঘটছে তার সেরা বাছাই পেতে নজর রাখুন আমাদেরদেশবিভাগে।