পিঙ্ক বুথ নির্বিঘ্নে ভোট করিয়ে খুশি বাঙালি শিক্ষিকা

সকাল থেকে এই পিঙ্ক বুথেরই দায়িত্ব সামলালেন জগদলপুরের এক বাঙালি শিক্ষিকা। মনীষা দেবনাথ, বিয়ের পরে এখন মনীষা ক্ষেত্রী।মহিলাদের আরও বেশি করে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে টেনে আনতেই নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগ এই ‘পিঙ্ক বুথ’। বিভিন্ন রাজ্যেই এই ‘পিঙ্ক বুথ’ হয় ভোটের সময়। যার পুরোপুরি দায়িত্বে থাকেন মহিলারা। ছত্তীসগঢ়ের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রেও একটি করে ‘পিঙ্ক বুথ’ খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জগদলপুর শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:৩৮
Share:

মনীষা দেবনাথ

জেলার নাম বস্তার। বিধানসভা কেন্দ্রের নাম চিত্রকূট। সেখানেই উসরিবেড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে নির্বাচন কমিশনের ‘পিঙ্ক বুথ’। যেখানে প্রিসাইডিং অফিসার তো বটেই, বাকি তিন পোলিং অফিসারও মহিলা।

Advertisement

সকাল থেকে এই পিঙ্ক বুথেরই দায়িত্ব সামলালেন জগদলপুরের এক বাঙালি শিক্ষিকা। মনীষা দেবনাথ, বিয়ের পরে এখন মনীষা ক্ষেত্রী।

মহিলাদের আরও বেশি করে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে টেনে আনতেই নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগ এই ‘পিঙ্ক বুথ’। বিভিন্ন রাজ্যেই এই ‘পিঙ্ক বুথ’ হয় ভোটের সময়। যার পুরোপুরি দায়িত্বে থাকেন মহিলারা। ছত্তীসগঢ়ের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রেও একটি করে ‘পিঙ্ক বুথ’ খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। চিত্রকূটের ‘পিঙ্ক বুথে’র প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পড়েছিল মনীষাদেবীর।

Advertisement

জগদলপুরের বিবেকানন্দ উচ্চ-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মনীষা দেবনাথ দায়িত্ব পেয়ে দারুণ খুশি। “এমন একটা উদ্ভাবনী ভাবনার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছি ভেবেই ভাল লাগছে। প্রথম বার এমন কাজ পেলাম। খুবই সম্মানিত বোধ করছি।” দায়িত্ব পেয়ে এক দিন আগেই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে দলবল নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন মনীষাদেবী। চিত্রকূটের ওই এলাকা বস্তারের মধ্যে হলেও মাওবাদীদের দাপট বিশেষ নেই। তা সত্ত্বেও চিন্তা ছিল। বাইরে তাই কড়া পাহারায় ছিলেন সিআরপি-র জওয়ানেরা।চিত্রকূটের মহিলারা ভোট দিতে এসে মহিলা অফিসারদের দেখে মজা পেয়েছেন। গ্রামে খবর ছড়িয়েছে। আরও মহিলা ভোট দিতে এসেছেন। নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য ছিল সেটাই। দিনের শেষে মনীষাদেবীরা নির্বিঘ্নেই ভোটগ্রহণ করে রওনা দিয়েছেন বাড়ির পথে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement