National News

মধ্যপ্রদেশে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা হতেই সমর্থন মায়াবতীর, সরকার গড়ছে কংগ্রেস, পাশে অখিলেশও

বিএসপি সুপ্রিমো এদিন বলেন, ‘‘মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ের ভোটের ফলে এটা স্পষ্ট যে, মানুষ বিজেপি এবং তাদের জনবিরোধী নীতির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। আর কোনও বিকল্প না থাকায় কংগ্রেসকে সমর্থন করছি।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থ

ভোপাল শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১:১৮
Share:

কংগ্রেসকে সমর্থনের ঘোষণা করলেন মায়াবতী। —ফাইল ছবি

২৪ ঘণ্টা পর মধ্যপ্রদেশের ভোটের ফল স্পষ্ট হতেই কংগ্রেসকে সমর্থন জানালেন মায়াবতী। পাশে দাঁড়িয়েছেন অখিলেশও। ফলে মধ্যপ্রদেশে সরকার গঠনে কংগ্রেসের সামনে আর কোনও বাধা রইল না। নিজেদের ১১৪টি আসনের সঙ্গে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) দু’টি আসন এবং সমাজবাদী পার্টির (এসপি) একটি মিলিয়ে নিয়ে মোট আসন সংখ্যা দাঁড়াল ১১৭। ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১১৬। উত্তরপ্রদেশের দুই দল কংগ্রেসের পাশে দাঁড়ানোয় ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও গো-বলয়ে নয়া সমীকরণের সূত্রপাত হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Advertisement

মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে বুধবার সকাল আটটা। ২৪ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি কাটিয়ে ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার চূড়ান্ত ফলাফলে কংগ্রেসের ঝুলিতে ১১৪টি আসন। ১০৯টি আসন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি। অন্যান্যদের মধ্যে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)দু’টি, সমাজবাদী পার্টি (এসপি) একটি এবং নির্দলরা ৪টি আসন দখল করেছে।

মঙ্গলবার বলেছিলেন, বিজেপিকে সমর্থন করবেন না। তখনই আঁচ পাওয়া গিয়েছিল। আর বুধবার চূড়ান্ত এই ফল সামনে আসার পরই সাংবাদিক বৈঠক করে মায়াবতী জানিয়ে দিলেন, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসকেই সমর্থন করছে তাঁর দল। প্রয়োজন পড়লে রাজস্থানেও কংগ্রেসের হাত ধরবেন তিনি। বিএসপি সুপ্রিমো এদিন বলেন, ‘‘মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ের ভোটের ফলে এটা স্পষ্ট যে, মানুষ বিজেপি এবং তাদের জনবিরোধী নীতির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। আর কোনও বিকল্প না থাকায় কংগ্রেসকে সমর্থন করছি।’’ উত্তরপ্রদেশের অন্য এসপি-র সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবও ঘোষণা করেছেন, কংগ্রেসকেই সমর্থন করবে তাঁর দল।

Advertisement

আরও পড়ুন: থেমে গেল নরেন্দ্র মোদীর বিজয়রথ! সেমিফাইনালে ধাক্কা মোদীত্বে

চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগে মঙ্গলবারই সরকার গঠনের আর্জি জানিয়ে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়ার জন্য সময় চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দেয় কংগ্রেস। কিন্তু গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেল জানিয়ে দেন, চূড়ান্ত ফল ঘোষণা হওয়ার আগে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। বুধবার সকাল আটটা নাগাদ চূড়ান্ত ফল ঘোষণার পর আবার রাজ্যপালের কাছে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন দলের নেতারা। এবার মায়াবতীর সমর্থন পেয়ে যাওয়ার পর কংগ্রেসের সামনে যেমন আর কোনও বাধা রইল না, তেমনই বিজেপির পক্ষেও সরকার গঠনের দাবি জানানো কঠিন হয়ে পড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির।

আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের ‘ফাইনালে’ মোদীর সঙ্গে টক্করে তৈরি রাহুল

মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি রাকেশ সিংহঅবশ্য মঙ্গলবার রাতে টুইট করেন, ‘রাজ্যের রায় কংগ্রেসের পক্ষে যায়নি। নির্দল প্রার্থীরা আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।’তবে মায়াবতীর সমর্থনের পর সেই দাবির আর কোনও তাৎপর্য রইল না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

রাত দু’টো নাগাদ সাংবাদিক সম্মেলন করে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের সভাপতি কমল নাথ দাবি করেন, তাঁরাই সরকার গঠনের দাবিদার। তখন ১১১টি আসনে তাঁদের প্রার্থীদের জয়ী ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এগিয়ে ছিল তিনটি আসনে। সেটা ধরেই কমল নাথের এই দাবি।

উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে দুই ‘চিরশত্রু’ এসপি এবং বিএসপি প্রথম একজোট হয়েছিল এ বছরের মার্চে, গোরখপুর ও ফুলপুর উপনির্বাচনে। তাতেই বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যাপক সাফল্য পায় এসপি-বিএসপি জোট। দু’টি আসনই হাতছাড়া হয় বিজেপির। তখনই ইঙ্গিতটা ছিল, বিজেপিকে হারাতে প্রয়োজনে এক ছাতার আসতেও আপত্তি নেই যুযুধান দু’পক্ষের। এবার মধ্যপ্রদেশে দু’দলই কংগ্রেসকে সমর্থন জানানোয় আগামী বছর লোকসভা ভোটে কংগ্রেস-বিএসপি-এসপি জোটের সম্ভাবনা আরও জোরদার হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement