প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কেন্দ্র এবং অসম সরকারের সঙ্গে সই হওয়া শান্তি চুক্তির ভিত্তিতে এ বার পদক্ষেপ করল অসমের জঙ্গিগোষ্ঠী আলফার আলোচনাপন্থী শিবির। মঙ্গলবার আলোচনাপন্থী শিবিরের প্রধান তথা সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অরবিন্দ রাজখোয়া সংগঠনের বিলুপ্তি এবং প্রতীকী অস্ত্রসমর্পণের কথা ঘোষণা করেছেন। যদিও সংগঠনের ‘স্বাধীনতাপন্থী’ গোষ্ঠীর নেতা পরেশ বরুয়ার শিবির এখনও ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।
রাজখোয়া মঙ্গলবার বলেন, ‘‘দিল্লিতে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুসারে আজকের বৈঠকে সংগঠন ভেঙে দেওয়ার এবং বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী সংগঠনের উপর রাষ্ট্রদ্রোহের সমস্ত মামলা তুলে নেওয়া হবে।’’ প্রসঙ্গত, ‘স্বাধীন এবং সার্বভৌম’ অসমের দাবিতে ১৯৭৯ সালের এপ্রিলে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল আলফার। বিগত সাড়ে চার দশকে অসম-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একাধিক রক্তক্ষয়ী অধ্যায়ের জন্য দায়ী এই সংগঠন। গত ডিসেম্বরে কেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তি সই করে শান্তিপ্রক্রিয়ায় শামিল হওয়ায় কথা ঘোষণা করেছিল আলফার আলোচনাপন্থী শিবির।
আলফার প্রধান রাজখোয়া, সহ-সভাপতি প্রদীপ গগৈ, ‘সেনাধ্যক্ষ’ রাজু বরা, অর্থসচিব চিত্রবন হাজরিকা-সহ কয়েক জন শীর্ষ নেতাকে ২০০৯ সালে ইউপিএ সরকারের আমলে বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে বাংলাদেশের জেলে বন্দি অনুপ চেতিয়াকে পরবর্তী সময় ফিরিয়ে এনে শান্তি প্রক্রিয়ায় সামিল করা হয়। রাজখোয়া, চেতিয়া, শশধর চৌধুরির মতো নেতারা শেষ পর্যন্ত শান্তি প্রক্রিয়ায় সামিল হলেও আলফা (স্বাধীন) নেতা পরেশ এখনও কেন্দ্রের ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাঁর গোষ্ঠী মায়ানমারে ঘাঁটি গড়ে চিনের মদতে ভারত বিরোধী নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। শান্তিচুক্তির বিরোধিতা করেও বিবৃতি দিয়েছেন পরেশ।