বিমান পরিষেবার উন্নয়নে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হল অসম সরকার। আজ ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সংশ্লিষ্ট দফতরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশোক গণপতি রাজু, মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান গুরুপ্রসাদ মহাপাত্র ও রাজ্য পরিবহণ সচিব আশুতোষ অগ্নিহোত্রী।
চুক্তির পরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, উড়ান প্রকল্পের অধীনে এই চুক্তি উত্তর-পূর্বে বিমান যোগাযোগ, ব্যবসা ও পর্যটন সম্ভাবনা অনেকটা বাড়িয়ে দেবে। এনসিএপির অধীনে কেন্দ্র অসমে আকাশপথে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য আর্থিক ও পরিকাঠামোগত বিভিন্ন সাহায্য দেবে। অসম তথা উত্তর-পূর্বে বিমান সেবার বিকাশে যথাসাধ্য সাহায্যের আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজু।
চুক্তি অনুযায়ী, অসমে বিমান যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য ‘ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং’ তহবিলে ৯০ শতাংশ অর্থ দেবে কেন্দ্র। টিকিটের উপরে পরিষেবা করেও ছাড় মিলবে। রাজ্য সরকার অসম ও উত্তর-পূর্বে চলাচলকারী বিমান টিকিটে ১ শতাংশ ভ্যাট কম নেবে। ‘রিজিওনাল কানেকটিভি স্কিম’-এর অধীনে থাকা বিমানবন্দরগুলির সম্প্রসারণে প্রয়োজনমতো কিছুটা জমি বিনামূল্যে দেবে অসম সরকার। ব্যবস্থা করা হবে রেল বা সড়ক পরিবহণের। ওই বিমানবন্দরগুলিতে রাজ্য সরকার বিনামূল্যে নিরাপত্তা, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা গড়ে দেবে। বিদ্যুৎ, পানীয় জল সরবরাহে ন্যূনতম টাকা নেওয়া হবে। ডিফু ও হাফলঙে হেলিপ্যাড তৈরির জন্য বিনামূল্য জমি দেবে রাজ্য।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর গণপতি রাজুর হাতে একটি স্মারকপত্র তুলে দেন সর্বানন্দ। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, আরসিএস বিমানবন্দরগুলির উন্নয়ন হলে রাজ্যে পর্যটন, ব্যবস্থা ও শিল্প বাড়বে। তাই ওই বিমানবন্দরে পরিকাঠামো ও যাত্রী পরিষেবা উন্নত করতে হবে। ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিমান হাব হতে পারে লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ বিমানবন্দর। তাই গুয়াহাটি বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের করতে হবে। ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি সফল করতে হলে দ্রুত কুনমিং, ইয়াঙ্গন, মান্দালয় ও ঢাকার মধ্যে নিয়মিত বিমান চালু করতে হবে। ডিব্রুগড় থেকে ব্যাঙ্কক ও সিঙ্গাপুরে উড়ান শুরু করার জন্য স্মারকপত্র অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন— আইজল, ডিমাপুর, ইম্ফলের মধ্যে বাড়ানো উচিত উড়ানের সংখ্যা। তুলনামূলক ভাবে অনুন্নত শালনিবাড়ি, লিলাবাড়ি ও রৌরিয়া বিমানবন্দরকে উন্নত করে তুলতে হবে। এ ছাড়া রূপসী বিমানবন্দরের পুনরুজ্জীবন, শিলচর-দিল্লি উড়ান, লিডো বিমানবন্দরের বিকাশ, যোরহাট-দিল্লি বিমান চালু করার উপরে স্মারকপত্রে জোর দেওয়া হয়।