আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পরেই ‘সক্রিয়’ হয়েছিলেন অসমের শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তড়িঘড়ি নির্দেশিকা জারি করে রাতে কতর্ব্যরত মহিলা চিকিৎসক এবং অন্য মহিলা কর্মীদের রাতে একা ‘নির্জন ও অন্ধকার’ স্থানে যেতে নিষেধ করেছিলেন তাঁরা।
কিন্তু চিকিৎসকদের অসন্তোষের জেরে শেষ পর্যন্ত বুধবার প্রত্যাহার করা হল ওই নির্দেশিকা। আন্দোলনকারী ডাক্তারি পড়ুয়া এবং চিকিৎসকেরা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিঙ্গবৈষম্যের অভিযোগ তোলার পাশাপাশি নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি তুলেছিলেন। শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল এবং চিফ সুপারিনটেনডেন্ট ভাস্কর গুপ্ত বুধবার নির্দেশিকা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে বলেন, ‘‘আগে জারি করা সতর্কবার্তা বাতিল করা হয়েছে। এই বিষয়ে শীঘ্রই একটি নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।’’
শিলচর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই নির্দেশিকায় মহিলা চিকিৎসকদের পাশাপাশি ডাক্তারির ছাত্রীদের উদ্দেশেও এক গুচ্ছ ‘পরামর্শ’ দিয়েছিলেন। রাতে হস্টেলের বাইরে না বেরনো, পারতপক্ষে ক্যাম্পাস ছেড়ে বেড়াতে না যাওয়া এমনকি, অজানা ব্যক্তির সঙ্গে মেলামেশা না করারও কথা বলা ছিল ওই সতর্কবার্তায়। কিন্তু ওই নির্দেশিকা জারির পরেই কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিঙ্গবৈষম্যের অভিযোগ ওঠে। শিলচর মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের (জেডিএ) সভাপতি সলমন চৌধুরী জানিয়েছিলেন, ওই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করা না হলে তাঁরা আন্দোলনে নামবেন।