বেদখল জঙ্গল পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দিলেন প্রমীলারানি

অসমের প্রতিটি জেলায় বেদখল অরণ্যভূমি পুনরুদ্ধারের প্রকল্প হাতে নিয়েছে রাজ্য সরকার। এ কথা জানিয়েছেন বনমন্ত্রী প্রমীলারানি ব্রহ্ম। রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাপকহারে অরণ্য ধ্বংস করা হচ্ছে বলে অঙিযোগ। কোথাও বনভূমি জবরদখল হয়ে গিয়েছে। কোথাও গাছ কাটার ফলে জঙ্গল সাফ হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৪৫
Share:

অসমের প্রতিটি জেলায় বেদখল অরণ্যভূমি পুনরুদ্ধারের প্রকল্প হাতে নিয়েছে রাজ্য সরকার। এ কথা জানিয়েছেন বনমন্ত্রী প্রমীলারানি ব্রহ্ম। রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাপকহারে অরণ্য ধ্বংস করা হচ্ছে বলে অঙিযোগ। কোথাও বনভূমি জবরদখল হয়ে গিয়েছে। কোথাও গাছ কাটার ফলে জঙ্গল সাফ হয়েছে। কোথাও বা আগাছার আগ্রাসনে জঙ্গলের স্বাভাবিক উদ্ভিদ-জগৎ লোপ পেয়েছে। ইন্দো-ভুটান সীমান্তে গাছ কাটার সমস্যা সব চেয়ে বেশি।

Advertisement

কোকরাঝাড়ের উল্টাপানিতে বড়ো ছাত্র সংগঠনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রমীলাদেবি জানান, যে ভাবে বন ধ্বংস হচ্ছে তাতে রাজ্যের বন্যপ্রাণীদের আবাস কমে আসছে। তারা লোকালয়ে ঢুকছে। খাদ্যাভাবে মারা যাচ্ছে। অবিলম্বে তা ঠেকাতে হবে। যুব সমাজকে অরণ্য বাঁচানোয় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রমীলাদেবী বলেন, “এক সময় চিরসবুজ অরণ্যের জন্য বিখ্যাত কোকরাঝাড়, চিরাং, বাক্সা, উদালগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গলই নেই। সেখানে জমি জবরদখল করে গ্রাম গড়ে উঠেছে।”

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বড়ো স্বশাসিত পরিষদের চারটি জেলায় ৪০ শতাংশ বনভূমি জবরদখল হয়ে গিয়েছে। জবরদখল হওয়া অরণ্যভূমির পরিমাণ ৪৪৫.০২ বর্গ কিলোমিটার। বিটিসির সমগ্র অরণ্যভূমি ৩, হাজার ৪৬৭ বর্গ কিলোমিটার। কিন্তু বেসরকারি সূত্রে খবর, চার জেলার বিভিন্ন অংশে ৭০-৭৫ শতাংশ বনভূমিই জবরদখল হয়েছে। সব চেয়ে বেশি জবরদখলের ঘটনা ঘটেছে হল্টুগাঁওতে। সেখানে ১৪ হাজার ৫৩৪ হেক্টর বনভূমি জবরদখল করা হয়েছে।

Advertisement

বনমন্ত্রী জানান, বনের জমি ফিরিয়ে আনতে রাজ্য সরকার বৃক্ষরোপণ ও অরণ্যায়ন কর্মসূচির অধীনে প্রতি জেলায় ১০০ হেক্টর করে জমি প্রথম পর্যায়ে ফের অরণ্যভূমিতে পরিণত করবে। বনের জমি জবরদখল মুক্ত করা হবে। যে সব ভূমিহীন ব্যক্তি অরণ্যে বা অরণ্য লাগোয়া জমি জবরদখল করে বাস করছেন, তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করা হবে।

রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল এ কে সিংহ জানান, বনমন্ত্রী নিজে রাজ্যের সব অরণ্যের হাল-হকিকৎ সরেজমিনে পরীক্ষার জন্য সব জঙ্গলে ঘুরছেন। বনকর্মী, পশুপ্রেমী সংগঠন ও আমজনতাকে সঙ্গে নিয়ে অরণ্যভূমি পুনরুদ্ধারে কাজ করছে বন দফতর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement