প্রতীকী ছবি।
স্কুল খোলার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে অসম সরকার৷ কেন্দ্রের সবুজ সঙ্কেত পেলে ১ সেপ্টেম্বরই বই-খাতা নিয়ে স্কুলে যাবে ছাত্রছাত্রীরা৷ যাবেন শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারীরাও৷ পড়ুয়াদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক নয়৷ কিন্তু স্কুল খুলে গেলে শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারীদের নিয়মিত যেতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা৷ ওই সময়ে কেউ করোনা-পজ়িটিভ হয়ে পড়লে অবশ্য আলাদা কথা৷ সকলকে ২৩ থেকে ৩০ অগস্টের মধ্যে কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে৷ এই কাজে হিমন্তবাবুর স্বাস্থ্য দফতর শিক্ষকদের সাহায্য করবে।
স্কুল খুলে গেলেও শ্রেণিকক্ষে সবাই ঢুকবে না৷ নবম বা তার ওপরের শ্রেণির ছাত্ররাই ক্লাসে যাবে৷ চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের প্রথম মাসে স্কুলে যাওয়ার দরকার পড়ছে না৷ পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়া হবে, কিন্তু শ্রেণিকক্ষে নয়৷ কবিগুরুর ভাবনায় আশ্রমিক শিক্ষা বা শান্তিনিকেতনী ধাঁচে খোলা জায়গায় বসবে ক্লাস৷ স্কুলে এই ধরনের খোলা জায়গা না-থাকলে গ্রামের কোনও মাঠও বেছে নেওয়া যেতে পারে,
জানিয়েছেন হিমন্ত।
নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে পাঠদান হবে৷ তবে এক শ্রেণির ছাত্রের যেন অন্য শ্রেণির কারও সঙ্গে যাতে দেখা না-হয়, এরও পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে৷ তিন ঘণ্টা করে দু’টি শিফটে স্কুল চলবে৷ সপ্তাহে দু’দিন নবম ও একাদশ শ্রেণি৷ সপ্তাহের বাকি চার দিন যাবে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা৷ দুই শিফটে দুই ক্লাস৷
কলেজের প্রসঙ্গে হিমন্তের ঘোষণা, শুরুতে শুধু ফাইনাল সিমেস্টারের ক্লাস হবে৷ তা-ও পড়ুয়াদের নিজের কলেজেই যেতে হবে, এমন ব্যাপার নেই৷ বাড়ির কাছাকাছি কোনও কলেজে নিজের বিষয় থাকলে সেখানেই ক্লাস করতে পারবেন পডুয়ারা৷
‘থ্রি ইডিয়টস’ ছবিতে যেমন পড়তে আগ্রহী ‘মিলিমিটার’কে পছন্দের কোনও স্কুলের ইউনিফর্ম পরে সেখানে যে কোনও ক্লাসে গিয়ে শিখে নেওয়ার বুদ্ধি দিয়েছিল ‘র্যাঞ্চো’। এ-ও কতকটা তেমনই। তবে এই সুবিধা যে শিক্ষকরা পাবেন না, মন্ত্রী তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন৷