ফাইল ছবি
বাঁধভাঙা জলে অসহায় বৃদ্ধা শিলচর অম্বিকাপট্টির বাড়ির দোতলার ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে সারারাত অপেক্ষা করেছেন, এই বুঝি তাঁদের উদ্ধার করতে কেউ এলেন৷ সাহায্যের আর্তিটা সোশ্যাল মিডিয়ায় এসওএস হয়ে ভোর পর্যন্ত ছড়িয়েছে৷ যাঁর হাতে পড়েছে তিনিই ফরোয়ার্ড করেছেন৷
এত মানুষের কাছে খবরটা পৌঁছেছে, প্রশাসন বা উদ্ধারকারী দলের কারও কাছে কি পৌঁছাবে না! ভাবছিলেন ৮৪ বছরের আরতি ভট্টাচার্য৷ আদৌ পৌঁছেছিল কিনা, তা অবশ্য অজানাই থেকে গেল৷ দুই বৃদ্ধাকে নামিয়ে আনতে সারা রাতেও কেউ গেলেন না৷
বার্তাটিতে লেখা ছিল, তাঁদের শুধু পাশের আবাসনে তুলে দিলেই হবে৷ আরতি নিজের চেয়েও বেশি চিন্তায় ছিলেন ছোট বোন মিনতিকে নিয়ে৷ তাঁরও বয়স ৮০৷ দুই বছর আগে পড়ে গিয়ে পা ভেঙে গিয়েছিল৷ তখন থেকে প্রায় শয্যাশায়ী৷ শেষে আজ সকাল আটটায় তাঁকে চেয়ারে বসিয়ে নামিয়ে আনেন বিএসএফ জওয়ানরা৷ পাঁজাকোলা করে নতুন ঠিকানায় তুলে দেওয়া হয় আরতিকেও৷ তাও প্রশাসনের সৌজন্যে নয়৷ মুম্বই থেকে তাঁদের ভাইপো ব্যক্তিগত পরিচয়ে যোগাযোগ করেন বিএসএফ কমান্ডান্টের সঙ্গে৷ এর পরই রক্ষা পান ৮০ ও ৮৪ বছরের দুই বোন৷
টানা বৃষ্টিতে বরাক উপত্যকার সব নদী-উপনদী জলে টইটম্বুর৷ শিলচর প্লাবিত৷ বরাকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী পরিমল শুক্ল বৈদ্য আজ কাছাড় ও করিমগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। নির্দেশ দেন, উদ্ধার বা ত্রাণে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। মুখ্যমন্ত্রী জানান, অনেক এলাকায় পর্যাপ্ত সাহায্য পৌঁছয়নি। জানতে পারলেই সরকার ব্যবস্থা করছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।