ভরলু নদী জলে ভরে থাকায় শহরের জল নিষ্কাশনও সম্ভব হচ্ছে না। নিজস্ব চিত্র
থামল না বৃষ্টি। তাই গুয়াহাটির কিছু এলাকায় জমা জল নামলেও অনিল নগর, নবীন নগর, ডাউন টাউনের মতো বিভিন্ন এলাকা এখনও জলমগ্ন। ভরলু নদী জলে ভরে থাকায় শহরের জল নিষ্কাশনও সম্ভব হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভুপেন বরার নেতৃত্বে কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করে যান। কিন্তু বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের সময় পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। ধাক্কাধাক্কিতে ভুপেন বরা, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অপূর্ব ভট্টাচার্য, কার্যনিবাহী সভাপতি রানা গোস্বামী, বিধায়ক আবদুল রশিদ মণ্ডল-সহ অনেকে হাতে, বুকে, পায়ে আঘাত পান। বেশ কিছু মহিলা কংগ্রেস সদস্যও জখম হয়েছেন। তাঁরা বিজেপি সরকারের সমালোচনায় মুখর।
বিজেপি সরকারকে ব্যর্থ বলে অভিযুক্ত করেছে তৃণমূলও। রাজ্য সভাপতি রিপুন বরা বলেন, এরা গুয়াহাটি মহানগরীকে স্মার্ট সিটি ঘোষণা করেছিলেন। টুইন টাওয়ার, রিং রোড নির্মাণ, স্যাটেলাইট টাউনশিপ তৈরি, পরিচ্ছন্ন শহর, সম্পূর্ণ বন্যামুক্ত গুয়াহাটির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু গত ছয় বছরে ভাষণ দেওয়া ছাড়া কোনও কাজ করতে পারেননি। তাঁর অভিযোগ, সে জন্যই মহানগরবাসী এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেন। বিজেপির প্রচার ফ্লপ শো-তে পরিণত হয়েছে।
কার্বি আংলং জেলার ডিফুতে বৃহস্পতিবার বিজেপির অসম প্রদেশ কমিটির কার্যনির্বাহী বৈঠক চলছে। মন্ত্রী-বিধায়কদের অধিকাংশ ওই বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। রিপুন এরও সমালোচনা করেন। বলেন, আসলে বন্যার সময় নিজেদের সুরক্ষিত রাখতেই তাঁরা ডিফুতে চলে গিয়েছেন। গুয়াহাটির জলবন্দি মানুষ যখন ঘর থেকে বেরোতে পারছেন না, সে সময় বিজেপির মন্ত্রী-নেতারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মনোরঞ্জন করছেন বলেও অভিযোগ করেন রিপুন।
এ দিকে, বৃহস্পতিবার মেঘালয়ে জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ধস নামায় অসমের বরাক উপত্যকা, ত্রিপুরা, মিজোরাম ও মণিপুরের জিরিবাম জেলা বাইরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ধসের দরুন রেলপথও একমাস ধরে বিচ্ছিন্ন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।