মমতাকে কটাক্ষ হিমন্ত বিশ্বশর্মার। গ্রাফিক- সনৎ সিংহ
তৃণমূলের ত্রিপুরা-তৎপরতার মধ্যেই এ বার মুখ খুললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ‘‘উনি যত অসম-ত্রিপুরায় আসবেন, আমাদের তত সুবিধা। রেড কার্পেট পেতে ওঁকে স্বাগত জানাব।’’ রবিবার এ কথা বলেন হিমন্ত।
তৃতীয় বার রাজ্য জয়ের পর ত্রিপুরা দখলের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল, নজরে আছে অসমও। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন দল থেকে তৃণমূলে যোগদানের পর্ব চলছে। অসমে কংগ্রেসের প্রয়াত নেতা সন্তোষমোহন দেবের মেয়ে তথা মহিলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সুস্মিতা দেব যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। অসমের নির্দল বিধায়ক অখিল গগৈও মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আগামী দিনে মমতাকেই প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান বলেও জানিয়ে রেখেছেন। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন হিমন্ত। তৃণমূলের ত্রিপুরা-অসম দখলের পরিকল্পনাকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়ে হিমন্ত বলেন, ‘‘উনি যত অসম-ত্রিপুরা আসবেন, ততই আমাদের সুবিধা। ওঁকে লাল কার্পেট পেতে স্বাগত জানাব। পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে বিধানসভা ভোট হয় প্রায় একই সময়ে। অসমে ভোটের সময় কারও বাড়িতে ঢিল পড়ার অভিযোগও ওঠে না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে আদালতকে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতে হয়।’’
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, অসমে বিপুল সংখ্যক বাঙালি ভোটারকে পাখির চোখ করেছেন মমতা। একই সঙ্গে ত্রিপুরায় বিজেপি-তে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। এই জোড়া ঘটনা বিজেপি নেতৃত্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়িয়েছে। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।
তৃণমূলের তরফে অবশ্য অসমের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের পাল্টা দাবি, ‘‘তৃণমূলের ভয়ে এ সব আবোল তাবোল বকতে হচ্ছে বিজেপি-কে। বিজেপি-ই কেবল রাজনীতি বোঝে এমন নয়। তৃণমূলকে রোখার সাধ্য তাদের নেই, এটা বিজেপি-ও বুঝতে পারছে।’’