রাহুল গাঁধী। —ফাইল চিত্র
কংগ্রেস অসমে ক্ষমতায় এলে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করতে দেওয়া হবে না। অসমে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রথম সভাতেই এই প্রতিশ্রুতি দিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। বিজেপি এবং আরএসস-এর বিরুদ্ধে বিভাজনের অভিযোগ তুলে বললেন, অসমের নিজস্ব মুখ্যমন্ত্রী চাই, যিনি দিল্লি বা নাগপুরের কথা না শুনে অসমবাসীর কথা ভাববেন। ১৯৮৫-এর অসম চুক্তির প্রতিটি শর্ত রক্ষা করবেন বলেও অসমবাসীকে আশ্বস্ত করলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।
এনআরসি নিয়ে আন্দোলন, মামলা চলছিলই। ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সংসদে সিএএ পাশ হওয়ার পর সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদ-প্রতিরোধ হয়েছিল অসমে। প্রতিবেশী এই রাজ্যের বাসিন্দাদের আশঙ্কা, সিএএ কার্যকর হলে রাজ্যের বহু মানুষ নাগরিকত্বের তালিকা থেকে বাদ পড়বেন। অসমবাসীর সেই উদ্বেগকেই ভোটের হাতিয়ার করলেন রাহুল।
রবিবার শিবসাগরের সভায় অসমের প্রথাগত পোশাক গামোছা দিয়ে স্বাগত জানানো হয় তাঁকে। সভায় রাহুল বলেন, ‘‘আমরা আজ গামোছা পরেছি। এতে সিএএ লিখে কেটে দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ, আর যাই হোক, এখানে সিএএ কার্যকর হবে না।’’ তবে অনুপ্রবেশ যে অসমের বড় সমস্যা, তা স্বীকার করে রাহুলের বক্তব্য, ‘‘এই সমস্যা অসমবাসী নিজেই সমাধান করতে পারেন আলোচনার মাধ্যমে।’’ একই সঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘‘অসম চুক্তি শান্তি ফিরিয়েছিল রাজ্যে। আমি এবং আমার দলের কর্মীরা সেই চুক্তির প্রতিটি ধারা রক্ষা করব। এর থেকে এক বিন্দুও সরব না।’’
অসমের নিজস্ব ভাবাবেগকে উসকে দিয়ে রাহুল বলেন, ‘‘অসম চুক্তিকে সামনে রেখে অসমে বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি এবং আরএসএস। অসম ভাগ হলে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না। কিন্তু অসম এবং সারা দেশের ক্ষতি হবে।’’ এই প্রসঙ্গেই রাহুলের বক্তব্য, রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে টিভি চালানো যায়, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নয়। অসমের প্রয়োজন একজন অসমিয়া মুখ্যমন্ত্রীর, যিনি অসমের কথা শুনবেন। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নাগপুর ও দিল্লির ইশারায় চলেন। ফের এই রকম মুখ্যমন্ত্রী হলে অসমের কোনও লাভ হবে না। কিন্তু অসমের নিজস্ব মুখ্যমন্ত্রী হলে যুবকরা কাজ পাবেন।’’