প্রতীকী ছবি।
বরাক উপত্যকার জন্য পৃথক ইস্তাহারের কথা বললেও সিএএ-বিরোধিতার প্রশ্নে অসমের বাঙালি অধ্যুষিত এই অংশের ক্ষেত্রে আলাদা কোনও অবস্থান নিচ্ছে না কংগ্রেস।
ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় দাঁড়িয়ে রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা বঢরা, দু’জনেই সিএএ-এর বিরোধিতা করেছেন। এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক জিতেন্দ্র সিংহ শনিবার শিলচরেও জানান, ক্ষমতায় এলে কংগ্রেস এই আইন বাতিল করবে। তবে তিনি একে উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্বের বিরোধিতা বলতে নারাজ। তাঁর যুক্তি, এই আইনের কোথাও কাউকে নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা হয়নি। বরং বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিদ্বেষ-বৈষম্যেই জোর দেওয়া হয়েছে। উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব নিয়ে খোলসা করে কিছু বলেননি অসমের দলীয় পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র। শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেবকে পাশে রেখে বারবার তিনি বলেন, “ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় রাহুল-প্রিয়ঙ্কাজি যে কথা বলে গিয়েছেন, বরাক উপত্যকাতেও আমাদের একই অবস্থান৷”
পাঁচ বছরে পাঁচ লক্ষ সরকারি চাকরি ও বেসরকারি ক্ষেত্রেও ২৫ লক্ষ চাকরির গ্যারান্টির পাশাপাশি প্রতি পরিবারে বিনামূল্যে মাসে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ, চা শ্রমিকদের দিনে ৩৬৫ টাকা মজুরি, গৃহিণীদের মাসে দু’হাজার করে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কংগ্রেস।
এই পাঁচ গ্যারান্টিকে প্রিয়ঙ্কা বঢরার স্বপ্ন বলে উল্লেখ করেন জিতেন্দ্র। এ নিয়ে আমজমতার মন বুঝতে এ দিন শিলচরে পদযাত্রা করে কংগ্রেস। জিতেন্দ্র সিংহের সঙ্গে হাঁটেন আর এক পর্যবেক্ষক অনিরুদ্ধ সিংহ, সুস্মিতা দেব, শিলচরের প্রার্থী তমালকান্তি বণিক ও বড়খলার প্রার্থী মিসবাহুল ইসলাম লস্কর। ফাটকবাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে ও পরে বেকার যুবাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। পাঁচ বছরে পাঁচ লক্ষ চাকরির গ্যারান্টির কথা শোনান৷ দাবি করেন, “বরাক উপত্যকায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিযুক্তির ৮০ শতাংশ হবে স্থানীয় ভিত্তিতে। বরাকের জন্য পৃথক ইস্তাহারেরও কথা বলেন জিতেন্দ্র-অনিরুদ্ধ।
কংগ্রেসের পাঁচ গ্যারান্টির ওয়েবসাইট (Congressor5Guarantee.in)-এ শনিবার পর্যন্ত ৮৪ হাজারের বেশি চাকরিপ্রার্থী নাম লিখিয়েছেন। গুয়াহাটিতে রাজ্য কংগ্রেসের
সভাপতি রিপুন বরার দাবি, “এই সংখ্যাই বলে দিচ্ছে রাজ্যে পালাবদল আসন্ন। রাজ্যবাসী বিশ্বাস করেছেন কংগ্রসকে। কংগ্রেসও তার মর্যাদা দেবে।” সাংসদ গৌরব গগৈয়ের বিশ্বাস, “কংগ্রেসের ক্ষমতায় ফেরা সময়ের অপেক্ষা মাত্র।”